বিএনপির
জাতীয় স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড.
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এই ভঙ্গুর শিক্ষা
ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হবে। সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিজকে নিজে তৈরী করো।
তোমরা মেধার প্রতিযোগীতা করো, তাহলে একদিন না একদিন সফল হবে। আমিও তোমাদের
মতো এই এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলাম।
সোমবার দুপুরে দাউদকান্দি
আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের গৌরবের ১০৭ বছর পূর্তিতে গৌরবের অর্জন কৃতী
শিক্ষার্থী-২০২৫ এবং গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য
রাখতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমি যদি শিক্ষা জীবনে
সময়কে কাজে না লাগাতাম। আমি হয়তো এ পর্যন্ত আসতে পারতাম না। আমি যা অর্জন
করেছি এই এই বিদ্যালয় ছিল আমার জন্য একটি বড় সাপোর্ট। তাই তোমরা যদি শিক্ষা
জীবনের মূল্যবান সময়টাকে কাজে লাগাও তাহলে একদিন তোমরা এদেশের জন্য শক্তি
হবে।
ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হলে একটি জাতির
উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ জাতি হতে পারে না। তাই রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে শিক্ষার
উন্নয়নে। আমরা যতো বেশি শিক্ষিত হবো, ততো বেশি উন্নত হবো।
বিদ্যালয়ের
এডহক কমিটির সভাপতি আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন,
স্থানীয় সরকার বিভাগের সাবেক সচিব মো. নিজাম উদ্দিন, ঢাবির অধ্যাপক ড. মো.
নুরুল আমিন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মারুফ হোসেন। এতে
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব জসীউদ্দিন
আহাম্মেদ।
এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির
আহ্বায়ক এম এ লতিফ ভূঁইয়া, সদস্য সচিব ভিপি মো. জাহাঙ্গীর আলম, পৌর বিএনপির
আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ সেলিম সরকার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আরমান চৌধুরী রবিন,
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল হোসেন, পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম
আহ্বায়ক শওগাত চৌধুরী পিটার, সিনিয়র সহ-সভাপতি জসীউদ্দিন আহাম্মেদ, পৌর
বিএনপির সদস্য সচিব কাউসার সরকার, ইশতিয়াক সরকার বিপুল, পৌর সেচ্ছসেবক দলের
সদস্য সচিব জামাল উদ্দীন মোল্লা, রোমান রাজীব চৌধুরী, জানে আলম প্রমুখ।
পরে
এসএসসি -২০২৫ সালের ৪৯ জন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ক্রেস্ট
তুলে দেন প্রধান অতিথি। অনুষ্ঠান সমাপ্তের আগমুহূর্ত এই বিদ্যালয়ে
প্রাক্তন শিক্ষার্থী সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. খন্দকার মোশাররফ
হোসেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সাবেক সচিব মো. নিজাম উদ্দিন, ঢাবির ফলিত
রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নুরুল আমিনকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিদ্যালয়ের সহাকারী শিক্ষক এমএ মামুন সরকার।
