রাজনৈতিক
দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধ পেতে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি
(এনসিপি)। এর ফলে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে গণ
অভ্যুত্থানের পর তরুণদের নিয়ে গঠিত এই দলটি।
৩০ সেপ্টেম্বর নির্বাচন
ভবনে এই তথ্য জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার আখতার আহমেদ বলেন, জাতীয় নাগরিক
পার্টি এনসিপি ও বাংলাদেশ জাতীয় লীগ নিবন্ধনের শর্ত্ত পূরণ করায় তাদেরকে
নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছ।
তবে নিবন্ধন পেলেও এনসিপির প্রতীকের
বিষয়ে কোন স্বিদ্ধান্ত জানায়নি নির্বাচন কমিশন। দলীয় প্রতীক হিসেবে শাপলা
চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছিল এনসিপি।
আখতার আহমেদ বলেন, এনসিপি
নতুন করে প্রতীক কি নেবে তা জানিয়ে চিঠি দেয়া হবে। এরপর তাদের বিরুদ্ধে
আপত্তি আহ্বান করে পত্রিকায় চিঠি দেওয়া হবে। দাবি আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে
চূড়ান্ত নিবন্ধন দেওয়া হবে।
ইসি সচিব জানান, জাতীয় নাগরিক পার্টি যে
প্রতীক চেয়েছে সেটি প্রতীক সংক্রান্ত বিধিমালার তফসিলে নেই। একারণে
এনসিপিকে প্রতীক নিশ্চিত করার জন্য আবারো চিঠি দেয়া হবে। জবাবে এনসিপি যে
প্রতীকের কথা জানাবে তা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।
এদিন
নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধনের জন্য আরও ১৩টি দলের নিবন্ধন পর্যালোচনাধীন আছে
বলে জানানো হয়। সচিবালয় এবং মাঠ পর্যায়ে অধিকতর যাচাই বাছাই শেষে এই
দলগুলোর বিষয়ে স্বিদ্ধান্ত হবে। দলগুলো হচ্ছে-বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি,
জাতীয় জনতা পার্টি এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ- শাহজাহান সিরাজ)।
বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টিকে নিবন্ধন দেওয়া সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়
হাতে আসার পর পর্যালোচনা হবে।
মাঠ অধিকতর তদন্তের তালিকায় রয়েছে-
আমজনতার দল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক
দল (মার্কসবাদী), বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, ভাষানী
জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, জনতার দল, মৌলিক বাংলা, জনতা
পার্টি বাংলাদেশ।
দলের মাঠ পর্যায়ের অস্তিত্ব ও কার্যকারিতার স্বপক্ষে
প্রয়োজনীয় প্রমাণাদি না পাওয়ায় তাদের আবেদন আবেদন বাতিল হয়েছে সাতটি দলের।
দলগুলো হলো—ফরোয়ার্ড পার্টি, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি [মার্কসবাদী–সিপিবি
(এম)], বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি), বাংলাদেশ বেকার সমাজ,
বাংলাদেশ সল্যুশন পার্টি, নতুন বাংলাদেশ পার্টি ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও
নেজামে ইসলাম পার্টি।
চলতি বছরের জুনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে
সামনে রেখে নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নির্বাচন
কমিশন। নিবন্ধনের জন্য ১৪৩টি নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন চেয়ে আবেদন করেছিল।
সেখানে প্রাথমিক যাচাই বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিল ২২টি রাজনৈতিক দল।