কুমিল্লার
বুড়িচং উপজেলার গোমতী নদীর বেরিবাঁধে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অংশ
হিসেবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে।
কুমিল্লা
জেলা প্রশাসনের নির্দেশে বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা
পর্যন্ত উপজেলার বাবুর বাজার ও কামারখাড়া এলাকার বেরিবাঁধ ঘেঁষা অংশে এ
অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তানভীর হোসেন। অভিযানে সহযোগিতা করেন বুড়িচং থানা
পুলিশের একটি টিম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ইমন বড়ুয়া,
উপসহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম, কার্য সহকারী নাসির উদ্দিন এবং পল্লী
বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মীরা।
প্রথম ধাপে বাবুর বাজার এলাকার
১৩টি এবং কামারখাড়া এলাকার ১২টি স্থাপনার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এ
সব স্থাপনার মধ্যে দোকান ও বসতঘর ছিল, যেগুলো দীর্ঘদিন ধরে নদীর দুই তীর ও
বেরিবাঁধ দখল করে নির্মিত হয়েছিল।
ইউএনও মো. তানভীর হোসেন জানিয়েছেন,
এসব অবৈধ স্থাপনার কারণে গোমতী নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল
এবং বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছিল। পরিবেশ বিপন্ন হওয়ার পাশাপাশি
সরকারি জমি অবৈধভাবে দখল করে গড়ে ওঠা এসব স্থাপনা নদী ও বেরিবাঁধের জন্য
হুমকিস্বরূপ।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নদী ও পরিবেশ
রক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার পর প্রতিটি
দখলদারকে নিজ উদ্যোগে স্থাপনা সরিয়ে নিতে দুইদিন সময় দেওয়া হয়েছে। এরপর
পর্যায়ক্রমে অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করে বেরিবাঁধ সম্পূর্ণভাবে দখলমুক্ত
করা হবে।