বৃহস্পতিবার ৩১ জুলাই ২০২৫
১৬ শ্রাবণ ১৪৩২
কুবিতে ‘স্মৃতিতে জুলাই অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধাদের সম্মাননা স্মারক প্রদান
‎‎কুবি প্রতিনিধি:‎
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ১:০২ এএম |


‎কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বিজয়-২৪ হল কর্তৃক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা, আহত যোদ্ধাদের সুস্থতা কামনা এবং ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের স্মরণে বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। একইসাথে জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী আহত শিক্ষার্থীদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
‎‎বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে বিজয়-২৪ হলের নিচ তলায় এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ‎
‎বিজয়-২৪ হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান খানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম। আরো উপস্থিত ছিলেন হলের হাউস টিউটর মো. হাসান শাহরিয়ার এবং মো. গোলাম মাহমুদ পাবেল। এ ছাড়াও বিজয়-২৪ হল এবং জুলাই আন্দোলনের বিভিন্ন ভাবে অবদান রাখা শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রাকিন খান।‎
‎অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দৈনিক সংবাদ’ এর প্রতিনিধি চৌধুরী মাছাবিহ্ বলেন, “জুলাই আমাদের জন্য ট্রাজেডির মাস। ১১ জুলাই কুবির শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলার প্রতিবাদে উত্তাল ছিল ঢাকা, শাহবাগে স্লোগান উঠেছিল— ‘কুবি হামলার জবাব চাই’। এসব মুহূর্ত ভুলবার নয়।”‎
‎সভাপতির বক্তব্যে ড. মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান খান বলেন, “জুলাই আন্দোলনের শুরু থেকেই আমি, মুতাসিম বিল্লাহ স্যার ও পাবেল স্যার সক্রিয়ভাবে কাজ করেছি। বাধার মুখেও আমরা পিছু হটিনি। আমি চেয়েছিলাম সম্মুখসারির যোদ্ধাদের সম্মান জানাতে, যদিও সবার পক্ষে তা সম্ভব হয়নি। শহিদদের ত্যাগ ও নারী যোদ্ধাদের অবদান অনস্বীকার্য। এই আন্দোলনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি আত্মতৃপ্তি, যা আজও অনুপ্রেরণা জোগায়।”‎
‎বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম বলেন, “জুলাই আন্দোলনের উদ্দেশ্য ছিল একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ। কিন্তু প্রশ্ন হলো, আমরা কি আজ র‌্যাগিং ও মাদকমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছি? না পেয়ে থাকলে আমাদের আত্মজিজ্ঞাসা করা উচিত— পরিবর্তন কোথায়? একজন শিক্ষার্থী কেন বাজে অভিজ্ঞতা নিয়ে ভর্তি বাতিল করে চলে যাবে? এসব থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।”‎
‎কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, “এই আন্দোলনে ধনী-গরিব নির্বিশেষে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণ ছিল। শিক্ষকরা এতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। আন্দোলনের শুরু থেকে যদি আমরা সক্রিয়ভাবে অংশ নিতাম, তবে রাজনৈতিক ট্যাগ লাগিয়ে দেওয়া হতো। কিন্তু পরবর্তীতে সকলের ঐক্যবদ্ধ অংশগ্রহণ আন্দোলনকে সফল করে তোলে।”












http://www.comillarkagoj.com/ad/1752266977.jpg
সর্বশেষ সংবাদ
আসন বিন্যাসের খসড়ায় কার লাভ, কার ক্ষতি
যা আছে খসড়া পুন:বিন্যাসে
সীমানা নির্ধারণে দাবি-আপত্তির সুযোগ ১১ দিন
তিতাসে ১৫ দিন যাবৎ দলিলের নকল সরবরাহ বন্ধ : ভোগান্তি দুই হাজার গ্রাহক
কুঁচিয়া বিক্রির টাকায়সংসার চলে নরেশের
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
আসন বিন্যাসের খসড়ায় কার লাভ, কার ক্ষতি
মহাসড়কের কুমিল্লায় ডাকাত ও ছিনতাইকারীর আতঙ্ক
কুমিল্লায় ঘর থেকে মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার
দাউদকান্দিতে সরকারী মার্কেটের জায়গা অবৈধ দখলের মহোৎসব
ভারতে অনুপ্রবেশের অপরাধে বাংলাদেশী যুবক আটক
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: newscomillarkagoj@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২