সৌদি
আরব প্রবাসী কবির মজুমদার তার পিতা এবং তিন ছেলের স্বপ্ন ছিল সপরিবারে
প্রবাস থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরবেন। সেই স্বপ্ন পূরণ করতে
বাবা ও স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে বাড়ি ফিরলেন সৌদি
প্রবাসী আলহাজ্ব কবির হোসেন মজুমদার। শনিবার (৫ জুলাই) সকাল ৮টায় তারা হযরত
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে
করে দুপুর ১টায় তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি কুমিল্লা লালমাই উপজেলার
ভুশ্চি ছোট শরীফপুর ডিগ্রি কলেজ মাঠে অবতরণ করে। এ-সময় তাদেরকে ফুল দিয়ে
বরণ করে নেয় শুভাকাঙ্ক্ষী, আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী। পরে হেলিকপ্টার থেকে
নেমে সপরিবারে একটি মাইক্রোবাসযোগে প্রবাসীর নিজ গ্রাম ভূলইন দক্ষিণ
ইউনিয়নের পরতী গ্রামের বাড়িতে পৌঁছান। প্রবাসী কবির মজুমদার ওই গ্রামের
হাজী আবদুল খালেক মজুমদারের মেজো ছেলে। দীর্ঘ ১০ বছর পর শনিবার বাবা,
স্ত্রী ও তিন ছেলে নয়ন মজুমদার, সাফওয়ান মজুমদার ও আদনান মজুমদার কে নিয়ে
দেশে আসেন তিনি।
স্থানীয়রা জানান, জীবিকার তাগিদে ২৯ বছর ধরে সৌদি আরবে
বসবাস করেন কবির মজুমদার। তাঁর আয়ে সচ্ছল এখন পুরো পরিবার। শুধু তাই নয়,
তার সহায়তায় উপকৃত হয়েছেন নিকট আত্মীয়স্বজনসহ এলাকার মানুষ। তিনি
সুখে-দুঃখে এলাকার মানুষের পাশে থাকেন।
এ-সময় এলাকাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা
জানিয়ে কবির মজুমদার বলেন, প্রথমত আমি সকল কিছুর জন্য আল্লাহর নিকট
শুকরিয়া জানাই। মূলত বাবা এবং সন্তানদের ইচ্ছায় আজ হেলিকপ্টার দিয়ে গ্রামে
আসা। দীর্ঘ বছর পর নিজ গ্রামের আলো-বাতাস পেয়ে ভালো লাগছে।
এদিকে ভূশ্চি
এলাকায় প্রথমবারের মতো হেলিকপ্টার অবতরণ করে। এই দৃশ্য ও হেলিকপ্টার দেখতে
স্থানীয় বাসিন্দাসহ আশপাশের কয়েক গ্রামের নারী-পুরুষ-শিশুসহ কয়েক হাজার
উৎসুক জনতার ভিড় জমে। স্থানীয়রা বলছে প্রবাসীদের এমন আসা তাদের জন্য সম্মান
বয়ে আনছে। প্রতিটি প্রবাসী এমন সম্মান নিয়ে দেশে ফিরুক সেটাই আশা করছেন
স্থানীয়রা।
ভূশ্চি ফাঁড়ি থানার ইনচার্জ আমিনুর রহমান সুমন বলেন, ভূশ্চি
এলাকায় হেলিকপ্টার অবতরণের খবরে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। তবে পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে সক্ষম ছিল দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা।