তিতাস
প্রতিনিধি: কুমিল্লার তিতাস উপজেলার তুলাকান্দিতে দুই বাক প্রতিবন্ধী
মেয়েকে কীটনাশক খাইয়ে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন মনু মিয়া নামের
বাক প্রতিবন্ধী এক বাবা। বিষক্রিয়ায় দুই মেয়ের মৃত্যু হলেও, বেঁচে আছেন
বাবা। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা দেওয়ার পর স্থানীয় অন্য
একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ৯ জুন (সোমবার) সকালে তিতাস উপজেলার
তুলাকান্দি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতারা হচ্ছে বাক প্রতিবন্ধী মনু
মিয়ার বাক প্রতিবন্ধী দুই মেয়ে মনিরা (১০) এবং ফাতিহা (৬)। মর্মান্তিক এ
ঘটনার সময়ে তাদের মা হাসিনা বেগম রান্নাঘরে নাস্তা তৈরী করছিলেন বলে
জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তিতাস থানার ওসি মোঃ শহিদ
উল্লাহ জানান, বাবা মনু মিয়া এবং মেয়ে মনিরা ও ফাতিহা তিনজনই প্রতিবন্ধী।
প্রতিবেশী ও গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, পরিবারের অসচ্ছলতা থেকে
এবং বাক প্রতিবন্ধী কথার কারণেই বাবা দুই মেয়েকে নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা
করেন। দুই মেয়ে মারা গেছেন। বাবাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া
হচ্ছে।
স্থানীয় ও প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মনু মিয়া
দীর্ঘদিন ধরে বেকার। শারীরিক অসুস্থতা, দারিদ্রতা এবং নিজের ও মেয়েদের
প্রতিবন্ধকতা নিয়ে তার ভেতরে হতাশা কাজ করছিল। এসব কারণে এই ঘটনাও হয়ে
থাকতে পারে। হতাশা থেকেই মনু মিয়া নিজেও বিষপান করেছে এবং মেয়ে দুটিকেও বিষ
পান করিয়েছে। তাদের কোন পারিবারিক কলহ ছিল না বলেই জানা গেছে।
তিতাস
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোঃ সরফরাজ হোসেন খান জানান, সকাল আটটায় মনু
মিয়া এবং তার দুই মেয়েকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর নিয়ে আসা হয়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার আগেই মনিরা ও ফাতিহার মৃত্যু হয়েছে। আমরা
পুলিশের কাছে লাশ হস্তান্তর করে দিয়েছি।