
কুমিল্লার
মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাস টার্মিনালে গাড়ী সাইট দেয়াকে কেন্দ্র
করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ফারজানা বাসের সাথে একটি
প্রাইভেট কারের ধাক্কা লাগায় এই সংঘর্ষের সূত্রপাতে দুটি কাউন্টার ভাংচুর
করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে এলাকায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা
যায়, শুক্রবার বিকেলে কোম্পানীগঞ্জ বাস টার্মিনালে ফারজানা বাসের সাথে
অজ্ঞাত একটি প্রাইভেট কারের ধাক্কা লাগে। এই সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে
প্রথমে কথা কাটাকাটি শুরু হয়, যা দ্রুত হাতাহাতিতে রূপ নেয়। অল্প সময়ের
মধ্যেই মুরাদনগর উপজেলার বাখরনগর এবং দেবিদ্বার উপজেলার ভিংলাবাড়ি গ্রামের
শত শত মানুষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুই পক্ষই দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রাস্তায়
নামে এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় ফারজানা ও হানিফ পরিবহনের
কাউন্টার ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ জনতা।
সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তবে তাদের নাম-পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সংঘর্ষের জেরে কোম্পানীগঞ্জ বাজারের কলেজ মার্কেটের দোকানপাট দ্রুত বন্ধ
হয়ে যায় এবং পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে
পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও পরবর্তীতে সহিংসতা বৃদ্ধির আশঙ্কায়
সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। বর্তমানে কোম্পানীগঞ্জ বাজার এলাকায় থমথমে
পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত
পুলিশ ও সেনা সদস্য মোতায়েন রাখা হয়েছে।
মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর
রহমান জানান, ‘পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং যারা সংঘর্ষে
জড়িত, তাদের দুই পক্ষকে নিয়ে মীমাংসার প্রক্রিয়া চলছে।’
অন্যথায় প্রশাসন দ্রুততম সময়ে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক করার এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে।