কয়েকদিনেরটানাবৃষ্টিএবংউজান থেকে নেমেআসাঢলেরকারণেভয়াবহবন্যারকবলেপড়েছে দেশ। এরইমধ্যে দেশেরউত্তর-পূর্ব, দক্ষিণ-পূর্ব ও পূর্বাঞ্চলের ১১টি জেলার ৭৭টি উপজেলাপ্লাবিতহয়েছে। গতকালশুক্রবার দুর্যোগব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রণালয় থেকে প্রদত্ত তথ্যে আরোজানাযায়, এ পর্যন্তবন্যাকবলিতহয়েছে ৪৪ লাখ ৯৭ হাজার ৫৩৫ জনএবংবন্যারপানিতেডুবে দুইনারীসহ মোট ১৩ জনেরমৃত্যু হয়েছে। তবে স্থানীয় সূত্রে প্রাপ্তখবরেমৃতেরসংখ্যাআরো বেশি দাবিকরা হয়।
পত্রিকান্তরে ও অন্যান্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানাযায়, বন্যা উপদ্রুতবিভিন্নএলাকায়আটলাখের বেশিগ্রাহকবিদ্যুৎহীন অবস্থায়রয়েছেন। মোট এক হাজার ৮০০ মোবাইলটাওয়ারঅচলহয়ে গেছে। ঘরেরমধ্যে পানি, খাদ্য ও পানীয়জলেরসংকট, সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ ও যোগাযোগহীন অবস্থায় বেশিরভাগমানুষরীতিমতো দুর্বিষহজীবনযাপনকরছে।
ত্রাণমন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যে জানাযায়, দুর্গতএলাকাগুলোতে মোট দুইহাজার ২৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলাহয়েছে।
এর মধ্যে ৮২ হাজার ৬৯৪ জনআশ্রয়নিয়েছে। সাতহাজার ৭৫৫টি গবাদি পশুকেওআশ্রয় দেওয়াহয়েছে। ১০ জেলার ক্ষতিগ্রস্তদেরচিকিৎসায় ৪৯২টি মেডিক্যালটিমকাজকরছে। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনীসহঅন্যান্য বাহিনীএবংসরকারেরবিভিন্নসংস্থা ও স্বেচ্ছাসেবীসংগঠন দুর্গতএলাকায়ত্রাণকাজপরিচালনাকরছে।
দুর্যোগব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রণালয়েসার্বক্ষণিক কন্ট্রোলরুম খোলাহয়েছে। যেকোনো তথ্য ও সহযোগিতারজন্য ০২৫৫১০১১১৫ নম্বরচালুরয়েছে। লাইনেপানি উঠে যাওয়ায়চট্টগ্রাম থেকে সারা দেশের ট্রেনচলাচলঅনির্দিষ্টকালেরজন্য বন্ধকরে দিয়েছে রেলওয়েকর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে ঢাকা-সিলেটপথওবন্ধকরাহয়েছে। সব মিলিয়েবৃহস্পতিবারপর্যন্ত মোট ৩১টি ট্রেনের যাত্রাবাতিল ও আংশিকবাতিলকরাহয়েছে।
বন্যারউৎপত্তি ও তীব্রতানিয়েএরইমধ্যে কিছুটাভুল-বোঝাবুঝিরসৃষ্টিহয়েছিল। নানামহল থেকে অভিযোগউঠেছিল যে ভারতেরত্রিপুরারাজ্যে থাকা ডুম্বুরুবাঁধের গেট খুলে দেওয়ায়আকস্মিক বন্যারসৃষ্টিহয়েছিল। ভারতেরপররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরবিবৃতিতেঅভিযোগ অস্বীকারকরেবলা হয়, বাঁধের কোনো গেট খুলে দেওয়াহয়নি। জমাপানিরউচ্চতাঅনেক বেশিহওয়ায়কিছুপানিউপচেএসেছে। দেশেরঅনেকপানি ও নদীবিশেষজ্ঞওমনেকরছেন, গোমতীনদীরওপরে থাকাবাঁধখুলে দেওয়ারকারণেএমনবন্যাহয়নি। বন্যাহয়েছে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতেরকারণেই। তাঁদেরমতে, বাঁধ খোলারকারণেবন্যাহলে সেটি গোমতীঅববাহিকায়বন্যারসৃষ্টিকরত, ফেনী, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রামকিংবাহবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সিলেটে গোমতীরপানি যেতেপারেনা। অথচ সেসব জেলায়ওবন্যাহয়েছে।
আগস্ট মাসেবন্যাহতেপারেএমনপূর্বাভাসজুলাইমাসেই দেওয়াহয়েছিল। কিন্তু ভারতেরত্রিপুরায় যেভাবে রেডঅ্যালার্ট জারিকরেপ্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়াহয়েছে, সেভাবেআমরাবন্যা মোকাবেলায়প্রয়োজনীয়প্রস্তুতিনিতেপারিনি। এখনসবচেয়েজরুরিহচ্ছেআরো বেশিকরে দুর্গতমানুষেরপাশে দাঁড়ানো। খাদ্য ও পানীয়জলসরবরাহকরা। দুর্বল ও অসুস্থ হয়েপড়ামানুষেরজন্য প্রয়োজনেফিল্ডহাসপাতালপরিচালনাকরা। পাশাপাশিবন্যার স্থায়ীপ্রতিকারেরদিকেআমাদেরআরো বেশিকরেনজরদিতেহবে।