জাতীয়
প্রধান ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা পুরাতন ট্রাঙ্ক রোডটি সংস্কারের
অভাবে যানবাহন চালকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মহাসড়কের আলেখারচর
বাইপাস থেকে শহরে প্রবেশের অন্যতম প্রধান এই সড়কটির আলেখারচর, দুর্গাপুর
এলাকার একাধিকস্থান ছোট-বড় খানা-খন্দকের কারণে এই দুর্ভোগ। এছাড়াও
উল্লেখিত স্থানগুলোতে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহনের
পাশাপাশি পথচারীদের দুর্ভোগও চরমে।
সরেজমিন ঘুরে পাওয়া তথ্য ও চিত্রে
দেখা যায়, বিগত শতাব্দির ’৮০ দশকের মাঝামাঝি আলেখারচর-পদুয়ারবাজার বাইপাসটি
চালুর আগে জাতীয় প্রধান ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সকল যানবাহন পশ্চিম অংশে
জেলার আদর্শ সদর উপজেলার আলেখারচর হয়ে এবংপূর্ব-দক্ষিণ অংশে চকবাজার,
সুয়াগাজী দিয়ে আসা-যাওয়া করতো। বর্তমানে পুরাতন এই ট্রাঙ্ক রোডটি দিয়ে
দুরপাল্লার কোন যানবাহন চলাচল না করলেও কুমিল্লা শহরের শাসনগাছা আন্ত:জেলা
বাসটার্মিনাল থেকে রাজধানী ঢাকা,সিলেটসহ জেলার একাধিক উপজেলায় কমপক্ষে ৩/৪
’শতাধিক যাত্রীবাহী বাস এই সড়ক পথে চলাচল করে।
এছাড়াও কুমিল্লা
বিশ্বিবিদ্যালয়,কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারী কলেজ, ময়নামতি সেনানিবাস এলাকায়
অবস্থিত একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বেসরকারী মেডিকেল
কলেজ,সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার
শিক্ষার্থী,শিক্ষক,কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বহনকারী বাস এবং কুমিল্লা
মহানগরীতে আসা-যাওয়া করা শত শত বিভিন্ন শ্রেনীর যানবাহন প্রতিদিন চলাচল
করছে এই সড়ক পথে। সড়কটির আলেখারচর থেকে কুমিল্লায় প্রবেশ মুখ, ময়নামতি
বিএনসিসি ক্যাডেট কোর অফিস সংলগ্ন সামনের অংশ, কোকাকোলা কারখানার পিছনের
অংশ, দীঘিরপাড়, দুর্গাপুর,উন্মুক্ত বিশ্বিবিদ্যালয়ের সামনের সড়কের
অংশগুলোতে বর্তমানে বেশ কিছু ছোট-বড় খানা-খন্দকের সৃষ্টি হয়েছে। দু’একটি বড়
বড় গর্ত ইট দিয়ে ভরাট করে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হলেও
কার্যত দুর্ভোগ যেন কিছুতেই কমছে না। এছাড়া একটানা বৃষ্টি হলে ময়নামতি
বিএনসিসি ক্যাডেট কোর অফিস সংলগ্ন স্থানটিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে যানবাহন
ও পথচারীদের চলাচলে দুর্ভোগ বাড়িয়ে দেয়।
কুমিল্লা শাসনগাছা আন্ত:জেলা
বাস টার্মিনাল থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াতকারী একাধিক পরিবহনের চালক ও
যাত্রীরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে এই দুরাবস্থা চলে আসলেও সংশ্লিস্ট
কর্তৃপক্ষের সেদিকে কোন নজরই নেই।
কুমিল্লা সদর উপজেলার আলেখারচর থেকে
নগরীতে প্রবেশের অন্যতম প্রধান পুরাতন এই ট্রাঙ্করোডটির সংস্কারের বিষয়ে
জানতে চাইলে কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সূনীতি চাকমার
মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল করেও পাওয়া যায়নি।