লাকসামের ইছাপুরায়
বার্ড ও শিসউক এর যৌথ উদ্যোগে ২০১৯ সাল থেকে প্লাবনভূমিতে মৎস্য প্রকল্প
পরিচালিত হয়ে আসছে। প্রতি বছরের ন্যায় এবার ইছাপুরা পূর্বপাড়া ইদগাহ মাঠে
বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব কাউসার হামিদ
সভায় প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন । প্রকল্পের চেয়ারম্যান জনাব জিল্লুর
রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস্য
কর্মকর্তা শওকত আলী। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন বার্ডের সহকারী পরিচালক সালেহ
আহমেদ।
সভার শুরুতে বিদায়ী বছরের হিসাব পেশ করেন শিসউকের নির্বাহী
পরিচালক সাকিউল মিল্লাত মোর্শেদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জনাব শওকত আলী
বলেন, "গবেষণায় প্রমাণিত, প্লাবনভূমিতে কমিউনিটি বেইজড ফিশারিজ মডেলে
কৃষিজমির উর্বরতা দেড় গুণ বৃদ্ধি পায় । বাংলাদেশে প্রায় ২৭ লক্ষ হেক্টর
প্লাবনভূমি রয়েছে, এ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারলে মৎস্যখাতে নতুন দিগন্ত
উন্মোচিত হবে।"
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন,
‘’বার্ড ও আখতার হামিদ খান কর্তৃক উদ্ভাবিত সিনারজি মডেলে প্রমাণিত যে,
একক উদ্যোগের চেয়ে সামষ্টিক উদ্যোগে অধিক ফলন হয়। লাকসামের একসময়ের
অব্যবহৃত প্লাবনভূমি এখন কেটি টাকার মাছ উৎপাদন করছে, স্থানীয় জনগণের
আত্মকর্মসংস্থানের পাশাপাশি উপজেলার মৎস্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ করে
দেশে প্রানিজ আমিষের চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছে। সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে
"লাকসাম মডেল" দেশব্যপী বিস্তৃত হোক।’’