দেশের
বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১৬০ টাকায় উঠে যাওয়ায় ভারত থেকে আমদানির অনুমোদন
দেয় সরকার। দেশটি থেকে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলেও
দেশের বাজারে রান্নাঘরের অতীব জরুরি পণ্যটির দাম তেমন কমেনি। এখনো দেশি
পুরোনো পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১৪০ টাকায় এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৯০ টাকায় বিক্রি
হচ্ছে।
তবে, আগামী দুই-একদিনের মধ্যে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ৫০ টাকায় বা
তার চেয়েও নিচে নেমে আসতে পারে বলে ধারণা করছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। আর
ভারতের পেঁয়াজের দাম কমলে পুরোনো দেশি পেঁয়াজের দামও কমতে পারে।
মঙ্গলবার
(২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি
কেজি দেশি পুরোনো পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকা দরে। আর ভারতীয় পেঁয়াজ
বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা দরে। এ ছাড়া মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০
থেকে ৮০ টাকায়।
মুগদা বাজারের আলিম স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. আলিম
ঢাকা পোস্টকে বলেন, পাইকারি বাজারে ভারতের পেঁয়াজের কমতি নেই। তবুও দাম
কমছে না। ভারতের পেঁয়াজ অনেকে কিনতে চায় না। দাম বেশি হওয়ার পরও দেশি
পেঁয়াজ বেশি চলছে এখনো। ভারতের পেঁয়াজের দাম আরও না কমলে দেশি পেঁয়াজের ওপর
চাপ কমবে না।
কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা
গেছে, ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম আজ কমেছে। ঢাকার বাজারেও কাল-পরশু
ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কমে আসবে। আর ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কমলে দেশি পেঁয়াজের
দামও কমে আসবে।
এদিকে দিনের ব্যবধানে আজ দিনাজপুরের হিলি বাজারে ভারতীয়
পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৪০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। গতকাল হিলি বাজারে প্রতি
কেজি পেঁয়াজ ৭৫ টাকায় বিক্রি হলেও আজ তা কমে ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর
মুড়িকাটা পেঁয়াজের দামও কমে ৫৫ টাকায় নেমেছে।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ৭
তারিখ থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। বর্তমানে ভারত থেকে পর্যাপ্ত
পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে, তাই বাজারে সরবরাহও বাড়ছে। চাহিদা বিবেচনায় সরবরাহ
বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারতীয় পেঁয়াজের দামও কমে আসতে শুরু করেছে।
