এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ তিনটি হোম ম্যাচ খেলেছে। তিন ম্যাচই ছিল গ্যালারি পরিপূর্ণ ও স্পন্সরে ভরপুর। ফুটবলাঙ্গনে কৌতূহল ছিল তিন ম্যাচ থেকে ফেডারেশনের লাভ কত হয়েছে। আজ বাফুফের নির্বাহী সভা শেষে তিন ম্যাচের আয় প্রকাশ করলেও ব্যয় জানাতে পারেনি ফেডারেশন। সভা শেষে বাফুফের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বাবু বলেন, 'বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুরের ম্যাচে ১ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা, বাংলাদেশ-হংকং ম্যাচে ১ কোটি ২ লক্ষ ৭ হাজার ৮৭৪ টাকা। বাংলাদেশ-ইন্ডিয়ার ম্যাচে ১ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা। এরপরেও আরো কিছু হয়তো খরচ আছে, সেই খরচগুলা আমরা পরবর্তীতে জানাব। আমাদের বের করতে বলছি, বের করে এই খরচটা তারা বের করে দিবে।'
আজকের সভার অন্যতম আলোচ্যসূচি ছিল এশিয়া কাপ বাছাইয়ের তিন ম্যাচের আয়-ব্যয়। আয় জানানো হলেও ব্যয় নয় কেন। ১০ জুন সিঙ্গাপুর ম্যাচ হয়েছিল। ৬ মাস হতে চললেও কেন ব্যয় জানা যাবে না এই প্রশ্নের উত্তরে বাবু বলেন, 'ব্যয় নিয়ে কাজ চলছে। আপনারা বলেছেন এজন্য আয় জানালাম।' ব্যয়ের হিসাব যেমন জানাতে পারেননি তেমনি আয় নিয়েও গোলমাল পাকিয়ে ফেলছিলেন। প্রথমে শুধু টিকিট বিক্রিতেই এই আয় উল্লেখ করলেও পরবর্তীতে সাংবাদিকদের জেরার পর জানান সব খাত মিলিয়ে আয়৷ বাফুফে প্রধান অর্থ কর্মকর্তা পরিবর্তন করেছে। নতুন অর্থ কর্মকর্তা হিসাব পদ্ধতি আরো সহজীকরণের পরামর্শ দেয়া হয়েছে নির্বাহী সভায়। সভা সূত্রের খবর, ১৮ নভেম্বর ভারত ম্যাচের ব্যয়ের কাগজপত্র এই সপ্তাহে পেয়েছেন অর্থ কর্মকর্তা। এজন্য সভায় উপস্থাপন করতে পারেননি। সিঙ্গাপুর ও ভারত ম্যাচের আগে নেপাল ও ভুটানের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলে। সেই ম্যাচের আয়ের বিষয়টি জানাননি বাবু। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বাফুফেকে আটটি স্টেডিয়াম বরাদ্দ করেছে। এর মধ্যে সিলেট জাতীয় স্টেডিয়ামকে গুরুত্ব দিচ্ছে ফেডারেশন, 'আমরা ফিফার কাছে ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচ খেলার জন্য আজকের মিটিংয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সিলেট স্টেডিয়ামকে। সেখানে যাতে করে ইন্টারন্যাশনাল খেলা আমরা খেলাতে পারি সেটার জন্য উপযুক্ত করার জন্য সর্বাত্মক ফিফার সহযোগিতা আমরা চাইব', বলেন বাবু। সিলেটের পর গাজীপুর স্টেডিয়াম ফেডারেশনের দ্বিতীয় প্রাধান্য। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে প্রাপ্ত সকল স্টেডিয়ামই ফেডারেশন ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফিফার অর্থায়নে কক্সবাজারে ট্যাকনিক্যাল সেন্টার হওয়ার কথা। ডিসেম্বরের মধ্যে ফেডারেশন জমি বুঝে না পেলে অর্থ হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলেও আজকের সভায় এটি আলোচনা হয়নি বেশি সময়ে। বাইশটি আলোচ্যসূচি নিয়ে সভা থাকলেও অনেকগুলো আলোচনা হয়নি সময় স্বল্পতায়। বিগত সভা মূলতবি হলেও এ সভা কিছু অগুরুত্বপুর্ণ এজেন্ডা সভাপতিকে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
