দীর্ঘ আট ঘণ্টা পর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ অংশে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
বুধবার
(১৯ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে যানজট পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এর আগে, দুপুর
১টা থেকে যানজট শুরু হয়। এতে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও পরিবহন
শ্রমিকরা।
হাইওয়ে পুলিশ, যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা
যায়, দুপুর ১টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বরাবো ও রূপসী বাসস্ট্যান্ড থেকে
যানজটের সূত্রপাত হয়। এতে উভয় পাশের গাড়ির স্বাভাবিক গতি বাধাগ্রস্ত হয়।
দুপুরের পর থেকেই যানবাহনের দীর্ঘ লাইন লেগে যায়। ফলে সড়কের উভয় দিকে
মাইলের পর মাইলজুড়ে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট।
দুপুরের পরে যানজট কাঁচপুর থেকে বরপা এলাকা পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার সড়কজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে উভয় দিকের যানবাহন চলাচল স্থবির হয়ে পড়ে।
বাসযাত্রী
বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘রাত সাড়ে ৭টা বাজে শিমরাইল থেকে গাউছিয়ার উদ্দেশে
রওয়ানা হয়েছি। এক ঘণ্টায় রূপসী বাসস্ট্যান্ড এসেছি। এখানে এসে অনেকটা
স্বাভাবিক পরিস্থিতি দেখছি। আশা করছি, বাকি পথটা যানজটবিহীন যাওয়া যাবে।’
মহাসড়কের
পার্শ্ববর্তী দোকানদার আব্দুস সবুর বলেন, ‘দুপুর থেকেই যানজট শুরু হয়েছে।
সন্ধ্যা থেকে যানজট বেড়ে ছয় কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। আট ঘণ্টা পর যানজট
পরিস্থিতির উন্নতি হয়ে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এসেছে।’
আসিয়ান পরিবহনের
চালক জুবায়ের হোসেন বলেন, ‘আট ঘণ্টার এই দীর্ঘ সময়ে আমার একটি ট্রিপ কম
হয়েছে। এখন রাত ৯টা। সড়কও স্বাভাবিক। তবে লসটা তো আর ওঠানো যাবে না।’
শিমড়াইল
ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন বলেন, তারাবো বিশ্বরোড গোল চত্বর
থেকে বরাবো বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তায় কিছুটা খানাখন্দ থাকায় এখানে এসে
যানবাহন ধীরগতিতে চলতে হচ্ছে। কখনো গাড়ির চাপ বাড়লেই উভয় পাশের গাড়ির
স্বাভাবিক গতি বাধাগ্রস্ত হয়। এতেই যানজটের সৃষ্টি হয়।
তিনি বলেন, ‘রাত ৮টার পর থেকে যানজট পরিস্থিতির উন্নতি হয়। বর্তমানে মহাসড়ক স্বাভাবিক রয়েছে।’
