ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার বেলতলী এলাকায় বিভাজকে থাকা অর্ধশত বকুল গাছ কেটে ফেলার পর সেই স্থানে পুনরায় ৬৪টি
বকুল গাছ রোপণ করা হয়েছে। সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ওই স্থানে এসব গাছের চারা রোপণ করেছেন।
সড়ক
ও জনপদ বিভাগ কুমিল্লার উপসহকারী প্রকৌশলী আদনান ইবনে আলম জানান, আমাদের
কর্মকর্তা কর্মচারীরা গিয়ে ৬৪ টি বকুল গাছ লাগিয়ে এসেছে। প্রায় ৫০০ মিটার
জায়গা জুড়ে এসব গাছ লাগানো হয়েছে। এর আগে যে ওই স্থানের গাছগুলো কেটে
নিয়েছে তাকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
তবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের
বিভাজকে যেসব গাছ লাগানো হয়েছে সেগুলো দেখাশোনা করার জন্য আলাদা লোকবল নেই
বলেও জানান তিনি। সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারী এবং নির্মাণ
শ্রমিকরাই এসব গাছের দেখাশোনা করেন।
এর আগে সম্প্রতি ঢাকা-চট্টগ্রাম
মহাসড়কের কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বেলতলী এলাকায় বিভাজকে লাগানো অর্ধশত
বকুলগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠে আজমির হোসেন (৩৭) নামে স্থানীয় এক ব্যক্তির
বিরুদ্ধে। পরে তার বিরুদ্ধে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর মামলা করলে পুলিশ তাকে
গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণ করে। কেটে ফেলা বকুলগাছগুলো মহাসড়কের
সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য লাগানো হয়েছিল সওজের উদ্যোগে। প্রতিটি গাছের বয়স ছিল
৯ বছরের বেশি।
সে সময় সওজ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম
মোস্তফা জানিয়েছিলেন, যেসব স্থানে গাছগুলো কাটা হয়েছে, পরে সেখানে নতুন করে
গাছ রোপণ করা হবে।
কুমিল্লা শহরের সুপরিচিত উদ্ভিদ প্রেমী ও চিকিৎসক
আবু নাঈম জানান, বকুল গাছের মতো গাছগুলো খুবই কষ্ট সহিষ্ণু। কেউ ইচ্ছা করে
কেটে না ফেললে কিংবা উপরে না ফেললে এসব গাছ সহজে মরেনা। মহাসড়কের বিভাজকের
যে বকুল গাছ গুলো লাগানো হয়েছে সেগুলো আসলেই চালকদের উপকারী এবং
দীর্ঘস্থায়ী। কারন আমাদের মহাসড়ক অনেক বেশি পরিমাণে আঁকাবাঁকা হওয়ায় রাতের
বেলা একপাশের যানবাহনের আলো অপর পাশের যানবাহনের চালকদের চোখে পড়ে এবং
দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে।
মহা সড়কের বিভাজক এবং আশেপাশের গাছপালা যেন কেউ অবাধ হয়ে উজাড় করতে না পারে সেজন্য প্রশাসনের কঠোর দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
