
ঐতিহ্যবাহী খাদি জিআই পণ্য হিসাবে বিশ্বস্বীকৃতিকে তুলে ধরতে প্রায় দেড় হাজার প্রতিযোগী নিয়ে কুমিল্লা ম্যারাথন ২০২৫ (‘‘ঐবৎরঃধমব জঁহং উববঢ়”) অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ প্রতিযোগিতায় সারা দেশের নিবন্ধিত দৌড়বিদরা অংশ নেয়। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে ফিনিসার স্মারক মেডেল তুলে দেওয়া হয়।
গত শুক্রবার (৭ নভেম্বর) ভোর ৫ টার দিকে বাংলাদেশ এ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন অনুমোদিত “ইভেন্ট থ্রিসিক্সটি” (ঊাবহঃ৩৬০)’র আয়োজনে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার গোমতীর বেঁড়িবাঁধ সংলগ্ন শুভপুর এলাকার জেলা ক্রীড়াপল্লীতে মাঠ থেকে ম্যারাথন শুরু হয়। এতে সার্বিক সহযোগিতায় করেন কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থা।
ম্যারাথনে আয়োজকরা জানায়, ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত সারা দেশ থেকে আসা প্রতিযোগিরা কয়েকটি ধাপে এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। প্রথমে ৪২.২ কিলোমিটার ফুল ম্যারাথনে অংশ নেয় ১০০ জন প্রতিযোগী। এরপর ২১.১ কিলোমিটার হাফ ম্যারাথনে অংশ নেন ২২০ জন। পরবর্তীতে ১০ কিলোমিটার দূরত্বে অংশ নেন ৭০০ জন এবং ৫ কিলোমিটার দূরত্বে অংশ ৩০০ জন।
ম্যারাথন বাস্তবায়নে রয়েছে, কমিউনিটি পার্টনার কুমিল্লা রানার্স, এসোসিয়েট পার্টনার নাজ রানিং একাডেমি, যুব রেড ক্রিসেন্ট, কুমিল্লা জেলা রোভার, সঞ্চারন এবং কুমিল্লা সাইক্লিস্ট এর ভলান্টিয়ার টিমের ২০০ জন সদস্য।
এছাড়াও আইন শৃঙ্খলা সহায়তায় ছিলেন, পুলিশ, ফায়ার সিভিল ডিফেন্স। মেডিক্যাল সহায়তায় ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন অফিস এবং ময়নামতি মেডিকেল কলেজ, হাইড্রেশন পার্টনার ছিলো এসএমএসি+ এবং ড্রিংক পার্টনার ছিলো কিনলে।
কুমিল্লা ম্যারাথনের আয়োজকদের সদস্য মাহমুদুল হাসান ইফাজ জানান, কুমিল্লা ম্যারাথন ২০২৫ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়। এতে নিবন্ধন করেন প্রায় দেড় হাজার প্রতিযোগী। শুক্রবার প্রায় ১৩০০ প্রতিযোগী নিয়ে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এ ম্যারাথনে নিবন্ধন থেকে পাওয়া যায় ১২ লাখ ৬৮ হাজার ৩২০ টাকা, জেলা প্রশাসন থেকে ২৫ হাজার টাকা এবং বেসরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় পাওয়া যায় ৩০ হাজার টাকা। এই আয়োজনে মোট খরচ হয়েছে ১৭ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। যার মধ্যে ঘাটতি রয়েছে ৪ লাখ ৩৪ হাজার ৬০০ টাকা।
