সরাসরি
থ্রোয়ে ওমানের শেষ ব্যাটসম্যানকে রান আউট করলেন মুহাম্মাদ ওয়াসিম। ম্যাচের
শেষটা এর চেয়ে সুন্দর হয়তো আর হতে পারত না। ব্যাট হাতে চমৎকার ইনিংস খেলার
পথে ওয়াসিম গড়লেন রেকর্ড। দারুণ অধিনায়কত্ব করলেন তিনি মাঠে। জয়-খরা কাটাল
তার দল।
এশিয়া কাপের ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচটিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের জয় ৪২
রানে। আবু ধাবিতে সোমবার ১৭২ রানের পুঁজি গড়ে ওমানকে ১৩০ রানে গুটিয়ে দেয়
তারা।
টি-টোয়েন্টিতে টানা ছয় ম্যাচ হারের পর জয়ের দেখা পেল আরব আমিরাত। ওমান পেল টানা সপ্তম হারের তেতো স্বাদ।
আসরে
প্রথম দুই ম্যাচ হেরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেল ওমানের। একই
সঙ্গে এই গ্রুপ থেকে সুপার ফোরের টিকেট নিশ্চিত হয়ে গেল ভারতের (৪ পয়েন্ট)।
বাকি একটি জায়গার জন্য লড়াইটা হবে এখন পাকিস্তান (২ পয়েন্ট) ও আরব
আমিরাতের (২ পয়েন্ট)। আগামী বুধবার মুখোমুখি হবে এই দুই দল।
ওমানের বিপক্ষে ৮৮ রানের উদ্বোধনী জুটিতে আরব আমিরাতকে বড় সংগ্রহ ও জয়ের ভিত গড়ে দেন ওয়াসিম ও আলিশান শারাফু।
৬
চার ও ৩ ছক্কায় ৫৪ বলে ৬৯ রানের ইনিংস খেলার পথে এই সংস্করণে বলের হিসাবে
দ্রুততম তিন হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন ওয়াসিম। ৭ চার ও এক ছক্কায় ৩৮
বলে ৫১ রান করে ম্যাচ-সেরার স্বীকৃতি পান অবশ্য শারাফু।
বল হাতে আরব আমিরাতের হয়ে জুনাইদ সিদ্দিকি সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন ২৩ রান দিয়ে।
জায়েদ
ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম তিন ওভারে আমিরাতের রান
ছিল কেবল ১১। এরপর রানের গতিতে দম দেন ওয়াসিম ও শারাফু। পরের তিন ওভারে ৩৯
রান তুলে পাওয়ার প্লেতে আসে ৫০।
শারাফু ফিফটি করেন ৩৭ বলে। পরের বলেই
ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি। ওই ওভারে ওয়াসিম জীবন পান ৩৩ রানে। সুযোগটা
দারুণভাবে কাজে লাগান তিনি।
৪১ বলে ফিফটি করা ওয়াসিম ৫৯ রানে পৌঁছে তিন
হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। এজন্য তার লাগল ১ হাজার ৯৪৭ বল। ২ হাজার
৬৮ বলে তিন হাজার ছুঁয়ে এতদিন রেকর্ডটি ছিল ইংলিশ তারকা জস বাটলারের।
বিস্ফোরক
ব্যাটসম্যান আসিফ খান এ দিন ভালো করতে পারেননি। মুহাম্মাদ জোহাইব (১৩ বলে
২১) ও হার্শিত কাউশিক (৮ বলে ১৯*) উপহার দেন ক্যামিও ইনিংস। শেষ ওভারে রান
আউট হন ওয়াসিম।
রান তাড়ায় শুরু থেকে নিয়মিত উইকেট হারায় ওমান। ৫০ রানে ৫
উইকেট হারিয়ে একশর আগে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে যায় তারা। মিডল ও লোয়ার
অর্ডারের দৃঢ়তায় একশ পেরিয়ে হারের ব্যবধান কমায় দলটি।
ওমানের প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের মধ্যে দুই অঙ্কে যেতে পারেন কেবল অধিনায়ক জাতিন্দার সিং (২০)। সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন আরিয়ান বিশত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
সংযুক্ত
আরব আমিরাত: ২০ ওভারে ১৭২/৫ (শারাফু ৫১, ওয়াসিম ৬৯, আসিফ ২, জোহাইব ২১,
হার্শিত ১৯*, রাহুল ০, ধ্রুব ১*; শাকিল ৩-০-১৬-০, ফয়সাল ৪-০-৪৫-০, কালিম
১-০-১৪-০, হাসনাইন ৪-০-৩৪-১, রামানানদি ৪-০-২৪-২, শ্রিভাস্তাভা ৪-০-৩৮-১)
ওমান:
১৮.৪ ওভারে ১৩০ (জাতিন্দার ২০, কালিম ২, হাম্মাদ ৫, ওয়াসিম ১, ফয়সাল ৯,
আরিয়ান ২৪, শুক্লা ২০, রামানানদি ১৩, হাসনাইন ০, শাকিল ১৪*, শ্রিভাস্তাভা
৬; জুনাইদ ৪-০-২৩-৪, রোহিদ ২.৪-০-২৭-১, হায়দার ৪-০-২২-২, ধ্রুব ২-০-১৪-০,
হার্শিত ৩-০-২৩-০, জাওয়াদউল্লাহ ৩-০-১৮-২)
ফল: আরব আমিরাত ৪২ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: আলিশান শারাফু