কুমিল্লার
ব্রাহ্মণপাড়া ও বুড়িচং উপজেলার সীমমান্তবর্তী চৌমহনী ফরিদ উদ্দিন মার্কেটে
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১২টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, ক্ষতি
হয়েছে কোটি টাকারও বেশি মূল্যের মালামাল। গত শুক্রবার (৪ জুলাই) সাড়ে ৯টার
দিকে মার্কেটের আবু খায়েরের গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান থেকে অগ্নিকাণ্ডের
সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে স্থানীয়রা ধারণা করছেন। মুহূর্তের মধ্যে
আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের দোকানগুলোতে। খবর পেয়ে বুড়িচং ফায়ার সার্ভিসের
তিনটি ইউনিট এবং স্থানীয় লোকজন প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে
আনেন। এসময় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
(ইউএনও) মাহমুদা জাহান।
বাজার কমিটির সভাপতি ও ক্ষতিগ্রস্ত
দোকানদারদের সাথে কথা বলে জানাগেছে,,ফরিদ উদ্দিন দোকান মালিক ক্ষয়ক্ষতি ২৫
লক্ষ টাকা, মিজান ইলেকট্রনিক দোকান ৩ লক্ষ টাকা, বজলু মিয়া ফল দোকান ৫০
হাজার টাকা , মনিরুল ইসলাম ফার্মেসি ৩ লক্ষ টাকা , হাসান মিয়া ইলেকট্রণিক
দোকান ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা , মোঃ সুমন কোকারিজ দোকান ১৩ লক্ষ টাকা , মোঃ
কামরুল হাসান ফ্রিজের দোকান ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, চন্দনশীল সেলুন দোকান ৩
লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, আবুল খায়ের মেসার্স খায়ের ট্রেডার্স নগদ টাকা সহ ৯
লক্ষ টাকা , আব্দুস সাত্তার মহসিন এন্টারপ্রাইজ ৬ লক্ষ টাকা, মাহবুব আলম
ফলের দোকান ৪ লক্ষ টাকা , মাসুদ রানা মারিয়া খেলাঘর এন্ড ফ্যাশন হাউজ ২০
লক্ষ টাকা, ইকবাল হোসেন মেসাস ইকবাল স্টোর ২ লক্ষ ৫০ হাজার, সর্বমোটা কোটি
টাকার ও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করেছে এলাকাবাসী। পরদিন ঘটনাস্থলে
ছুটে যান ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ডঃ মোবারক হোসেন।
এ বিষয়ে
সাহেবাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মনির হোসেন চৌধুরী বলেন, আগুন লাগার সাথে সাথেই
আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসীর প্রচেষ্টায় ২ ঘন্টা পর
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। এলাকায় ১২ টি দোকান পুড়ে কোটি টাকা
ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার
মাহমুদা জাহান বলেন, আমি খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছি ক্ষতিগ্রস্ত
দোকানীদের লিস্ট করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে আর্থিক সহায়তা করা
হবে।