
দেয়ালে ফাটল ধরেছে। বৃষ্টি হলে ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে। ভবনের দেয়াল ও ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে। শৌচাগার ব্যবহারের অনুপযোগী। বলছি কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমির কথা। যা এক যুগেও হয়নি সংষ্কার। কালচারাল অফিসার জানিয়েছেন, নতুন অর্থবছরে কাজ হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মূল ফটকে নামের স্থানে দেয়া আছে অস্থায়ী পিভিসি ব্যানার। শ্রীহীন মিলনায়তন বাহির দেখেই দেখে বুঝা যায় রং করা হয়নি বহুবছর।
প্রবেশ মুখের সিটিজেন সার্টারেরও একই হাল। শৌচাগার ব্যবহারের অনুপযোগী। নেই আলোর ব্যবস্থা। সাউন্ড প্রুফ অডিটরিয়ামে ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে। বারান্দায় ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে। সিঁড়িতে টাইলস খসে পড়ছে একেরপর এক। টয়লেটে নেই বদনা। একই সাথে দরজা ভাঙ্গা।
ছাদে উঠে দেখা যায়, পরিত্যক্ত ভবনের মতো বিস্ময় গাছ। আর ভবনের পেছনে মশার প্রজনন কেন্দ্র। জরাজীর্ণ এ শিল্পকলা একাডেমিতে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার শিশুদের গান, নাচ, আবৃত্তিসহ ৭টি বিষয়ে প্রশিক্ষণ। মাসের প্রায় প্রতিদিন থাকে সরকারি, বেসরকারি সভা সমাবেশ।
আবৃত্তিশিল্পী ও সচেতন নাগরিক কমিটি -সনাক কুমিল্লার সাবেক সভাপতি বদরুল হুদা জেনু বলেন, নগরীর বাসিন্দা ঠিকাদার আবুল কাশেমের মাধ্যমে স্কেট ইয়ার্ড পদ্ধতিকে এ কাজ হয়েছিলো। আমরা এটাকে আগ্রার তাজমহলের সাথে তুলনা করতাম। কারণ ১৯৮১-৮৩ অর্থবছরে কাজ শুরু হয়ে কাজ শেষ হয় ১৯৮৮ সালে। জেলার একমাত্র সাংষ্কৃতি চর্চা কেন্দ্র জাঁকজমকপূর্ণ হবে, এমনটাই আমরা চাই।
১৯৮০ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত কুমিল্লার কালচারাল অফিসার ছিলেনবশিরুল আনোয়ার। তিনি বলেন, সর্বশেষ ২০০৯ সালে কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমি সংষ্কার করা হয়। এরপর এটিতে তেমন মেরামত করা হয়নি। রং না থাকলে সুন্দর লাগে না। দিনদিন এটি খারাপের দিকে যাচ্ছে।
নাট্যকর্মী শাহজাহান চৌধুরী বলেন, কুমিল্লাকে শিল্প-সংষ্কৃতির উর্বর ভূমি বলা হয়। দিনদিন সে ঐতিহ্য হারাচ্ছে। কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে রিহার্সেল করার রুম নেই। বৃহস্পতিবার, শুক্রবার সবাই রুম চায়, তখন কষ্ট হয়ে যায়।
আর এটি বর্তমান যে, অবস্থায় আছে, দ্রুত মেরামত - রক্ষণাবেক্ষণ যদি না করা হয়। শিল্পকলার বিকল্প স্থান আর নেই।
জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এনডিসি মো: ফরিদুল ইসলাম বলেন, পলেস্তারা খসে পড়র বিষয়টি ডিসি স্যারের নলেজেও আছে। আমরা সমস্যাগুলো বের করেছি। নতুন কালচারাল অফিসার যখন কাজ করু করবেন। তিনি মন্ত্রণায়ে চাহিদা প্রেরণ ও বাজেট বিষয়ে কাজ করবেন।
জেলা কালচারাল অফিসার মোহাম্মদ ফয়েজ উল্লাহ জানান, অতিরিক্ত সচিব মহোদয় বিষয়টি দেখে গেছেন । আমরা চিঠি দিয়েছি। আশাকরি, নতুন অর্থবছরে বরাদ্দ পাবো। আমাদের ৩ লক্ষ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ছিলো। তা পরিশোধ করেছি।