ইসমাইল নয়ন।।
কুমিল্লার গোমতী ও
সালদা নদীর ভাঙনের ফলে বুড়িচং - ব্রাহ্মণপাড়া প্রায় এলাকা প্লাবিত হয়ে কয়েক
লক্ষ মানুষ পানিবন্দী হয়ে ভোগান্তিতে পড়ে। এতে ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র, গরু
বাছুর নিয়ে বিপাকে দুই উপজেলার মানুষ। এরই মধ্যে বন্যার পানি কিছুটা কমছে।
কিন্তু ধীর গতিতে পানি কমায় এখনো বাড়ি ঘর পানির নিচে তলিয়ে আছে। ফলে
দুর্ভোগ এখনো কমেনি বন্যা কবলিত মানুষের। এছাড়া রাস্তাঘাট এখনো পানির নিচে
তলিয়ে আছে কোন কোন রাস্তা সামান্য ভেসে উঠলেও বন্যার ক্ষতচিহ্ন রয়ে গেছে
রাস্তার উপরে।
বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর, দক্ষিণ গ্রাম, উওর
গ্রাম,শংকুচাইল,বাকশেমুল,পীতাম্বর,পয়াত,হরিপুর, জগত
পুর,ইছাপুরা,শামপুর,জরুইনসহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষ এখনো পানি বন্দী রয়েছে। এ
ছাড়াও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার নাইঘর, ধান্যদৌল, নাগাইশ, বড়ধুশিয়া, সবুজপাড়া,
চারিপাড়া, সাজঘর দেউস, শান্তিনগর, রামচন্দ্রপুর, টাটেরা, ছাতিয়ানি, মানরা,
গজারিয়া, শিদলাই, মালাপাড়া, আসাদনগর, সাহেবাবাদ গ্রামসহ ৮ ইউনিয়নের প্রায়
প্রতিটি গ্রাম এখনো পানির উপর ভাসছে। ধান্যদৌল গ্রামের জিয়ার বাড়ির
বাসিন্দা মোস্তফা মিয়া বলেন, ঘর থেকে পানি নেমে গেলেও উঠানে এখনো হাঁটুর
উপরে পানি। গবাদিপশু গুলো অন্যের বাড়ির উচু স্থানে বেঁধে রেখেছি। গরুর
খাদ্যের প্রচন্ড অভাব। এছাড়া পরিবার-পরিজন আশ্রয়ন কেন্দ্রে আছে। এখনো বাড়ি
ফেরার মতন অবস্থা হয়নি।কবে বাড়ি যেতি পারি আল্লাহ ভাল জানেন।
নাগাইশ
গ্রামের মিজান মিয়া নামের অপর একজন বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে পানিবন্দী।
পরিবারের সবাইকে আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি। বাড়িঘর দেখাশোনার জন্য
কষ্ট করি বাড়িতে থেকে গেছি। পানি যে ধীরগতিতে কমছে পরিস্থিতির উন্নতি হতে
সময় লাগবে।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে প্রায় ৫০ হাজার
মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয়ানে ও বন্যার্ত মানুষের মাঝে প্রচুর পরিমাণে
ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন আশ্রয়ানে সরকারি, বেসরকারি ও
ব্যক্তি উদ্যোগে চিকিৎসা এবং ফ্রি ঔষধ বিতরণ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ও দেখা
দিয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র ও বন্যার্তদের মাঝে পানিবাহিত নানা রোগ।