মঙ্গলবার ১ জুলাই ২০২৫
১৭ আষাঢ় ১৪৩২
বরুড়ায় ভাই বোনের মৃত্যুরহস্য জানা যাবে যাবে ময়নাতদন্তে
দাফন সম্পন্ন, থানায় অপমৃত্যু মামলা
তানভীর দিপু:
প্রকাশ: রোববার, ৯ জুন, ২০২৪, ১২:৩০ এএম |

বরুড়ায় ভাই বোনের মৃত্যুরহস্য জানা যাবে যাবে ময়নাতদন্তে
শুক্রবার সকালে পাকা কাঁঠালের সাথে আটার রুটি দিয়ে নাস্তা খাওয়ানো হয় দুই বছরের আবদুর রহমান ও চার বছরের খাদিজাকে। পরে তালের শাঁসও খায় তারা। দুপুরে মায়ের হাতেই মাসকলাইয়ের ডাল আর গরম ভাত খায় দুই ভাই-বোন। এর কিছুক্ষণ পরই দু’জনেই বমি শুরু করে। অবস্থা বেগতিক দেখে বাবা হাফেজ নেছার উদ্দিন শিশু দু’জনকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। কাছাকাছি হওয়া পাশর্^বর্তী চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তির একটি হাসপাতালে নেয়ার পথেই বাবার কোলে মৃত্যুবরণ করে শিশু আবদুর রহমান। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয় বোন খাদিজাকে। শিশুটির অবস্থা মুমূর্ষ হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেবার কথা জানানো হয়। কুমিল্লা মেডিকেল থেকে ঢাকায় নেবার পথেই খাদিজারও মৃত্যু হয়। কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার পয়ালগাছা ইউনিয়নের হাটপুকুরিয়া গ্রামে দিঘীরপাড় এলাকায় দুই ভাই-বোনের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। শনিবার বিকালে তাদের দাফন করা হয়।
মুঠোফোনে নিজের সন্তানের মৃত্যুর ঘটনা এভাবেই কান্না জড়িত কণ্ঠে জানান হাফেজ নেছার উদ্দিন। তিনি জানান, আমি বাড়ি ছিলাম না। খবর শুনে বাড়িতে এসে- বাচ্চা দু’টিকে পয়ালগাছা চিকিৎসকের কাছে নেবার পথেই রহমান মৃত্যুবরন করে। এরপর খাদিজাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে- তারা শিশুদের আইসিইউতে নিতে বলে, মেডিকেলে শিশুদের আইসিইউ নাকি নেই- তাই আমি গাড়ী ঠিক করি কোন প্রাইভেট মেডিকেলে নেয়া যায় কি না- পথেই আমার মেয়েটা মারা যায়।  
এই ঘটনায় বরুড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী জানান, যেহেতু দুই ভাই বোন একসাথে মৃত্যু হয়েছে- তাই পরবর্তী আইনীকার্যক্রম পরিচালনার জন্য ময়নাতদন্ত করা হয়।
কাঁঠাল -রুটি, তালের শাঁস এরপর মাসকলাইয়ের ডাল-ভাত খাওয়ার সাথে মৃত্যুর কোন সম্পর্ক আছে কি না জানতে চাইলে বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. ইকবাল আনোয়ার জানান, খাবারে কোন ধরনের বিষক্রিয়ার কারণেই এই মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু তারা যেসব খাবার খেয়েছে কোনটি থেকে বিষক্রিয়া হলো সে টি দেখার বিষয়। তারপরও যেহেতু ময়নাতদন্ত হয়েছে- তদন্তেই উঠে আসবে আসল কারণ।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, কাঁঠাল আগে খোলা রাখলে হলে ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি হয়, অপর দিকে শিশুরা যেসব খাবার খেয়েছিলো- সবই গরমভাবাপন্ন খাবার। সেক্ষেত্রে কোন খাবার থেকে বিষক্রিয়া হলো নাকি অন্য কোন কিছু এই মৃত্যুর জন্য দায়ী তা ময়নাতদন্তেই উঠে আসবে।   
এদিকে শিশুদের বমি খেয়ে ওই এলাকার মুরগী মারা গেছে কি না এমন তথ্য জানতে চাইলে রহমান ও খাদিজার পিতা নেছার  উদ্দিন বলেন, এমন তথ্য ছড়িয়ে আমার সন্তানদের মৃত্যুর বিষয়টা ভাইরাল হয়ে গেছে। তারা কাঁঠাল খেয়ে আবার তালের শাঁস খেয়েছে- অন্যদিকে প্রচন্ড গরম ছিলো। হয় তো খাবারে কোন সমস্যার কারণে তাদের এই অবস্থা হয়ে থাকতে পারে। গত কয়েকদিন ধরেই এই এলাকায় হাঁস মুরগী মারা যাচ্ছে। এরকমই শুনে আসছি। আমার ছেলে-মেয়ে যে খাবার খায় তাদের মা ও চাচীও একই খাবার খেয়েছে  তাদের কোন সমস্যা হয় নি।  
বরুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নু এমং মারমা মং জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। যেহেতেু দুই জন শিশু একসাথে মৃত্যুবরন করেছে তাই আমরা একটি মামলা নিয়েছি এবং ময়নাতদন্ত করানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলেই জানা যাবে মৃত্যুর কারণ কি খাবারের কারণে বিষক্রিয়া, নাকি অন্য কোন কারন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।















সর্বশেষ সংবাদ
ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়াই ছিলো নিপীড়নকারীদের উদ্দেশ্য?
পর্নোগ্রাফি মামলার আসামিদের রিমান্ডে চায় পুলিশ
কুমিল্লায় প্রকৃতি ও জীবন ক্লাবের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ
সেনাবাহিনীর অভিযান কুমিল্লায়৩ হাজার ইয়াবা ও ৩০ লাখ টাকাসহ আটক ১
এবি পার্টি মহানগরের উদ্যোগে চাউল বিতরণ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
চালের ড্রাম ছিলো ৩ হাজার ইয়াবা ও ৩০ লাখ টাকা; জব্দ করল সেনাবাহিনী
লালমাইয়ে দুই মাদকসেবীকে সাজা
ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়াই ছিলো নিপীড়নকারীদের উদ্দেশ্য?
অবশেষে বন্ধ হলো কুমিল্লা কুটির শিল্প ও বাণিজ্য মেলা
কে এই ফজর আলী
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২