নিজস্ব
প্রতিবেদক: কুমিল্লা থেকে নীলফামারীর পর্যটনকেন্দ্রের বেড়াতে যাওয়া
কুমিল্লার দুই সাংবাদিক শাহাজাদা এমরান ও তরিকুল ইসলাম তরুণকে অন্যায়ভাবে
আটক করার খবর পাওয়া গেছে। বেড়াতে গিেেয় বিভিন্ন স্পটে ঘুরাঘুরি সময় তাদেরকে
সন্দেহবশত আটক করে নীলফামারী পুলিশ। দিনভর এ তথ্য গোপন করলেও রাতে একটি
সূত্রের কাছে তাদেরকে আটক করার সত্যতা স্বীকার করে পুলিশ। পরে রাতেই
তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
শাহাজাদা এমরান কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত দৈনিক
আমাদের কুমিল্লার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এবং তরিকুল ইসলাম তরুণ দৈনিক
মানবকণ্ঠের কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি। প্রায়ই তারা দেশের বিভিন্ন জেলায়
ঘুরতে যান। নীলফামারীতে বেড়াতে যাওয়া সাংবাদিক শাহাজাদা বিভিন্ন পর্যটন
স্পটে দাঁড়িয়ে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে লাইভ দেন। কিন্তু শুক্রবার বিকালের
পর থেকে তাদের আর কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। শনিবার সারাদিনভর তাদের
পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ-খবর নেন। কিন্তু সন্ধান না পেয়ে
কোতোয়লী মডেল থানায় শাহাজাদার স্ত্রী জাহেরা আক্তার একটি সাধারণ ডায়েরি
করেন।
নীলফামারীর পুলিশের সাথে কুমিল্লা ও নীলফামারীর স্থানীয়
সাংবাদিকরা যোগাযোগ করলে তারা দিনভর দুই সাংবাদিককে আটকের কথা অস্বীকার
করেন। সেই সাথে শাহাজাদাকে অপছন্দ করেন এমন কথিত কয়েক ফেসবুক প্রোফাইধারী
তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে থাকেন।
শনিবার সন্ধ্যার পর নীলফামারী
পুলিশ একটি সূত্রের কাছে তাদেরকে আটকের কথা স্বীকার করেন এবং তাদেরকে
ন্যূনতম একটি মামলায় আদালতে সোপর্দ করার চিন্তাভাবনার কথা জানান। পরে অবশ্য
রাতে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাবেক
সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক কুমিল্লার কাগজ সম্পাদক আবুল কাশেম হৃদয় জানান,
বেড়াতে যাওয়া সাংবাদিকদের অন্যায়ভাবে আটক করা হয়েছে। কেউ বেড়াতে গেলে
সন্দেহবশত কাউকে আটক করা একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা।