কুমিল্লায়
কিশোর গ্যাং গ্রুপের ১৬ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে
দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও ককটেল। গত শুক্রবার নগরীর সার্কিট হাউজ মোড়ে
প্রকাশ্যে দুই দল কিশোরগ্যাংয়ের সদস্য বখাটের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার পর
রাতে সাঁড়াশি অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার
আবদুল মান্নান। শনিবার সকালে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ
সম্মেলনে পুলিশ জানায় ঈগল গ্যাং ও রতন গ্যাং নামে দু’টি বখাটে গ্রুপের
সদস্যরা এই মহড়া ও সংঘর্ষে জড়ায়। সংবাদ সম্মেলন শেষে কিশোরগ্যাংয়ের ব্যবহৃত
উদ্ধারকৃত দেশী ধারালো অস্ত্র সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করা হয়।
সংবাদ
সম্মেলনে জানানো হয়, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও অস্ত্র মহড়ার ঘটনার পরই পুলিশ
অভিযানে নামে এবং যারা এই গ্যংয়ের সাথে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনতে
ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। অভিযানে যাদের আটক করা হয় তারা হলো- রতন গ্রুপ এর
নগরীর সংরাইশ এলাকার ফজর আলীর ছেলে মো: শাওন হোসেন (২০), চাঁনপুর এলাকারা
মমিন হায়দারের ছেলে সাইমন আহমেদ(১৮), কাটাবিল এলাকার আব্দুল মোতালেবের
ছেলে শাওন হাসান (২২), একই এলাকায় মোঃ লিটন ছেলে মোঃ বাদল (২১), চান্দিনার
কাশিমপুর গ্রামের জীবন সরকারের ছেলে প্রমিজ সরকার শান্ত (১৮) এবং ঈগল
গ্রুপের ধর্মপুর এলাকার মো: আবদুল্লাহর ছেলৈ মেহেদী হাসান সিয়াম(১৮),
দৌলতপুরে আবুল হোসেনের ছেলে মো: সাকিব(১৮), সংরাইশের আবদুল মতিনের ছেলে মো:
ফাহিম হোসেন, তেলিকোনার মো: দুলাল মিয়ার ছেলে আরিফ হোসেন(১৯), মোগলটুলির
মাসুদুর রহমানের ছেলে সামবীর (১৯), বারপাড়ার সেলিময় মিয়ার ছেলে আকিব হোসেন
(১৯), সংরাইশ এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মোঃ ফরহাদুজ্জামান পিয়াস (২০),
২য় মুরাদপুরের জামাল মিয়ার ছেলে আশরাফুল ইসলাম নিলয় (২০), সুজানগরের মৃত
মোহাম্মদ আলীর ছেলে মোঃ কাইয়ুম হোসেন,২য় মুরাদপুরের আরজু মিয়ার ছেলে আতিকুর
রহমান (১৯), দাউদকান্দি স্বপাড়ার বিমল রায়ের ছেলে বর্ষণ রায় জয়।
সংবাদ
সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, যারা এই কিশোরগ্যাং গ্রুপের সাথে জড়িত তাদের
ব্যাপারে তথ্য নেয়া হচ্ছে। যারা এই গ্যাংগুলোর মদদদাতা তাদেরকের খুঁজে বের
করার চেষ্টা হচ্ছে। আশা করি তাদেরকেও আইনের আওতায় আনতে পারবো। ককটেল
বিস্ফোরণ ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় পৃথক চারটি মামলা দায়ের
করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য কিশোরদের গ্রেফতারের পুলিশের অভিযান
অব্যাহত রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশফাকুজ্জামান,
নাজমুল হাসান, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ ফিরোজ হোসেন,
কান্দিরপাড় পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ দীনেশ বড়ুয়াসহ জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা
উপস্থিত ছিলেন।