কুমিল্লার
বুড়িচং উপজেলার পূর্ণমতি গ্রামে পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে প্রবাসী সোহাগ
ভূঁইয়ার বাম হাতের কবজি কেটে দেয়ার ঘটনায় দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা-বুড়িচং-মীরপুর সড়কে পূর্ণমতি
গ্রামের শতাধিক মানুষ এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,
ঘটনাটি অত্যন্ত নৃশংস ও পরিকল্পিত। মামলা দায়েরের পরও প্রধান আসামি সেনা
সদস্য রেজাউল করিম, তার ভাই ফখরুল হাসানসহ সহযোগীরা এলাকায় প্রকাশ্যে
ঘোরাফেরা করলেও পুলিশ এখনো তাদের গ্রেফতার করছে না। বরং মামলাটি তুলে নিতে
সোহাগের পরিবারকে নানা হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। এতে ভুক্তভোগীর পরিবার
মারাত্মক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
বক্তারা আরও জানান, সোহাগ ভূঁইয়ার
স্ত্রী মুন্নি আক্তারের সঙ্গে ফখরুল হাসানের অনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের।
২০২২ সালে স্থানীয়রা তাদের হাতে নাতে ধরলে এলাকাবাসীর সালিসে সতর্ক করে
ফখরুলের বাবার জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে ২০২৩ সালের জুলাইয়ে সোহাগ ও
মুন্নির বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের পরও মুন্নি ও তার প্রেমিক ফখরুল
সোহাগের ওপর নানা চাপ সৃষ্টি করে। চলতি মাসের ১ ডিসেম্বর ১০ লাখ টাকা চাঁদা
দাবি করে অস্বীকার করলে তারা প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
এর ধারাবাহিকতায় গত
৫ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পরিকল্পিতভাবে সোহাগকে বাড়ির সামনের
রাস্তায় আটকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। হামলায় তার বাম হাতের
কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার
পর চিকিৎসা চলছে। এ ঘটনায় সোহাগের বর্তমান স্ত্রী মোসাঃ দিতী বেগম ৬
ডিসেম্বর বুড়িচং থানায় মামলা করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন—মোঃ জামাল
হোসেন ভূঁইয়া, মোঃ জালাল হোসেন ভূঁইয়া, দুলাল হোসেন ভূঁইয়া, নাঈম ভূঁইয়া,
আবু ইসলাম, আব্দুল মজিদ, ফরিদ উদ্দিন মেম্বার, আব্দুল সাত্তার মেম্বার, আবু
তাহের ভূঁইয়া, মুকবুল হোসেন, জয়নাল আবেদীন সর্দার, হৃদয় হাসান, মাসুদ,
সাফেদ ও জিহাদ হাসান প্রমুখ।
এলাকাবাসী দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
