বশিরুল ইসলাম:
১৬
ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা প্রশাসন নানা
কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। তবে এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নের নাম করে উপজেলার
বিভিন্ন সুবিধাভোগী, ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠান থেকে টোকেন মানি নেওয়ার অভিযোগ
উঠেছে। বিষয়টি স্থানীয়দের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
এদিকে
এই টোকেন মানি আদায়ের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন চন্দ্র রায়
(ইউএনও) জানিয়েছেন, তিনি এমন কোনো নির্দেশনা দেননি। অভিযোগের বিষয়ে তিনি
কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে সদর দক্ষিণ উপজেলা
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিনকে ফোনে
যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমি ফোনে
কথা বলতে চাই না, সরাসরি আসলে কথা বলতে পারবো। এরপর তিনি ফোন কেটে দেন।
এদিকে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে, যেখানে এক
ব্যক্তিকে (যাকে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে) বলতে শোনা
যায় যে, উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশেই টোকেন মানি নেওয়া হচ্ছে। অডিওতে আরও
শোনা যায়, তিনি ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠান মালিকদের উদ্দেশে বলেন যদি আমরা
অভিযান পরিচালনা করি তাহলে এগুলো সব বন্ধ হয়ে যাবে। এই বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ার
পর স্থানীয় ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
তাদের আশঙ্কা, টোকেন মানি দিতে অস্বীকৃতি জানালে অভিযানের নামে হয়রানির
শিকার হতে পারেন। ফলে অনেকে বাধ্য হয়ে টাকা দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে কুমিল্লা
জেলা সিভিল সার্জন ডা. আলী নূর মোহাম্মদ বশির আহমেদ বলেন, জেলা সিভিল
সার্জনের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। উপজেলা প্রশাসনের
বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কোনো অনিয়মে জড়িত
থাকেন এবং এ বিষয়ে প্রমাণ পাই, তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমন
পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন বিজয় দিবসের মতো জাতীয় অনুষ্ঠানের আগে
টোকেন মানি আদায়ের নামে যদি এমন বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়, তবে এর দায় কার?
