নোয়াখালী
জজ কোর্টের এডভোকেট লিটন কুমার শীলের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা ও পুলিশি
হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কুমিল্লার লালমাই উপজেলার পেরুল
উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) দিলীপ চন্দ্র সিংহ। শনিবার (৬
ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় নিজ এলাকায় এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
লিখিত
বক্তব্যে দিলীপ চন্দ্র সিংহ জানান, ১৯৯৮ সালে তিনি নোয়াখালীর সেনবাগ
উপজেলার মতৈন গ্রামের চন্দ্র মোহন বড়ুয়ার মেয়ে পিলু রানী বড়ুয়াকে বিয়ে
করেন। বিয়ের পর নোয়াখালীর জুলেখা আনোয়ারা হাসপাতালে নার্স হিসেবে কর্মরত
থাকা অবস্থায় এডভোকেট লিটন কুমার শীল তার স্ত্রীর প্রতি অবৈধ প্রেমের
প্রস্তাবসহ নানাভাবে উত্যক্ত করতেন। বিষয়টি জানাজানি হলে তিনি স্ত্রীকে
কুমিল্লায় নিয়ে আসেন। পরে লিটন কুমার শীল অস্ত্র নিয়ে কুমিল্লায় গিয়ে
স্ত্রীকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশে দেয় এবং
তার বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা হয়।
দিলীপ সিংহ অভিযোগ করেন, জামিনে বের হয়ে
লিটন কুমার শীল অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাঁর স্ত্রীকে দিয়ে তালাক নেন এবং পরে
তাকে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে স্ত্রী ওই বিয়েও ভেঙে ফেললে লিটন কুমার শীল
ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতি, চাঁদাবাজি, অপহরণ, গণধর্ষণসহ
চারটি মিথ্যা মামলা করেন—যার সবকটির তদন্তে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন।
তিনি
আরও জানান, সর্বশেষ চলতি বছরের ১৭ নভেম্বর নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন
দমন ট্রাইব্যুনাল-০১-এ আসমা আক্তার নামে এক নারীকে দিয়ে একটি সাজানো অপহরণ ও
গণধর্ষণ মামলা দায়ের করান এডভোকেট লিটন কুমার শীল। ওই মামলায় তাকে ২ নম্বর
আসামি করা হয়। আদালতের নির্দেশে চাটখিল থানা মামলা নং—০৯, তারিখ ১৮
নভেম্বর ২০২৫ রুজু করে। অথচ ঘটনার বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না বলে দাবি
করেন।
দিলীপ সিংহ বলেন, মামলার বিস্তারিত দেখে জানা যায়, মামলার ঘটনার
স্থান হিসেবে দশঘরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি কক্ষ উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আল বাকের নিশ্চিত করেছেন—বিদ্যালয়ে দিন-রাতে
প্রহরী থাকে এবং এমন কোনো ঘটনা সেখানে ঘটেনি, ঘটার সুযোগও নেই।
তিনি
জানান, মামলার ৪ নম্বর আসামি নাজমুল আলম নাঈমকে হয়রানি করতে বাদী আসমা
আক্তার ও তার বোন তামান্না প্রতারণামূলকভাবে একটি ভুয়া নিকাহ্ নামা তৈরি
করে মামলার ভিত্তি দাঁড় করায়। উক্ত বালাম নম্বর, পৃষ্ঠা নম্বর ও তারিখ
যাচাই করে ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
একজন
জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজের মানসম্মান নষ্ট, আর্থিক ক্ষতি ও পুলিশি হয়রানির
প্রতিবাদ জানিয়ে দিলীপ চন্দ্র সিংহ বলেন, “এডভোকেট লিটন কুমার শীলের
দীর্ঘদিনের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় আমি অতিষ্ঠ। তাই মাননীয় প্রধান
উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নিকট ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছি।”
