চৌদ্দগ্রাম
প্রতিনিধি: কুমিল্লা-১১ চৌদ্দগ্রাম আসনে গণঅধিকার পরিষদের এমপি প্রার্থী
কেএম ফরিদ আমিনের বিরুদ্ধে পিতা রুহুল আমিনকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের যুগিরহাট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভিকটিম রুহুল
আমিন বাদি হয়ে কেএম ফরিদ আমিন, তাঁর স্ত্রী মোসাঃ নাছরিন ও মেয়ে জয়নব
আক্তার মিমসহ ৫ জনের বিরদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। যদিও ঘটনাটি
অস্বীকার করেছেন কেএম ফরিদ আমিন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, দীর্ঘদিন ধরে
রুহুল আমিনের সাথে তাঁর ছেলে কেএম ফরিদ আমিনের পারিবারিক কলহ চলছিল। প্রায়
সময় কেএম ফরিদ আমিন ও তাঁর স্ত্রী নাছরিন যোগসাজশে রুহুল আমিনকে মারধর করে।
এসব ঘটনায় থানায় একাধিক জিডি ও অভিযোগ রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে পরস্পর
যোগসাজশে একত্রিত হয়ে কেএম ফরিদ আমিন গং রুহুল আমিনের উপর হামলা চালিয়ে আহত
করে। এ সময় রুহুল আমিনকে বাঁচাতে স্ত্রী ফরিদা বেগম, পাশের আবদুল আহাদ ও
মরিয়ম এগিয়ে গেলে তাদেরকেও মারধর করে। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা রুহুল আমিনের
ঘর ভাংচুর করে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার শেষে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেয়। তাৎক্ষণিক ৯৯৯-এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন
করে থানা পুলিশের একটি টিম। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ বা আদালতে মামলা করলে
ভিকটিমদেরকে হত্যা করার হুমকি দেয় কেএম ফরিদ আমিনসহ হামলাকারীরা।
অভিযোগ
উঠেছে, এর আগে দায়েরকৃত অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সাথে অশালীন আচরণ
করেছে কেএম ফরিদ আমিন। বিভিন্ন সময়ে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতাদের
দিয়ে প্রশাসনকে হুমকিও দিতেন তিনি।
তবে গণঅধিকার পরিষদের এমপি প্রার্থী
কেএম ফরিদ আমিন শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার
বিকেলে কাউকে মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি’।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা
চৌদ্দগ্রাম মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম শুক্রবার সন্ধ্যায় বলেন,
‘অভিযোগ পেয়েছি। শিগগিরই তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে’।
