যশোরের কেশবপুর উপজেলায় যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক বহিষ্কৃত এক যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে।
তার
নাম উজ্জ্বল বিশ্বাস। তিনি উপজেলার আলতাপোলের নাজির বিশ্বাসের ছেলে। তিনি
পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। ৫ অগাস্ট পরবর্তী সময়ে নানা অভিযোগের
পরিপ্রেক্ষিতে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার
আবিদ আহম্মেদ বলেন, “শুক্রবার রাতে কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে উজ্জ্বলকে
হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
বৃহস্পতিবার রাতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র, গুলি ও মাদকসহ উজ্জ্বল বিশ্বাস এবং আরও তিনজনকে আটক করা হয়।
অন্য
তিনজন হলেন- কেশবপুর পৌর শহরের ভোগতি নরেন্দ্রপুর এলাকার আব্দুল আজিজের
ছেলে ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন পলাশ (৪০), পলাশের
ভাই আলম (৩৫) এবং নতুন মূল গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে রাসেল (৩০)।
পরে তাদের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
জেলার
আবিদ আহম্মেদ বলেন, “শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার পর উজ্জ্বলকে কারাগারে
হস্তান্তর করা হয়। সেসময় তিনি অসুস্থ ছিলেন। তার নথিতে উল্লেখ ছিল, তিনি
গণপিটুনির শিকার হয়েছেন। কারাগারে গ্রহণকালে যেসব প্রশ্ন করা হয়, তিনি তার
উত্তর স্বাভাবিকভাবেই দিয়েছিলেন। তবে তিনি ‘ইন্টারনাল হ্যামারেজের’ শিকার
ছিলেন।
“এ সময় তাকে কারা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রাত সাড়ে ১০টার
দিকে হঠাৎ তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রায় ১৫ মিনিট পর তাকে যশোর জেনারেল
হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।”
যশোর জেনারেল হাসপাতালের
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জোবায়ের হোসেন বলেন, তার (উজ্জ্বল) শরীরের বিভিন্ন
অংশে চাপা আঘাত ছিল এবং অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়েছে। রাত ১১টায় তাকে মৃত
অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।
কেশবপুর থানার ওসি বোরহান উদ্দিন বলেন,
“উজ্জ্বলকে যৌথবাহিনীর ক্যাম্প থেকে রাতে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। এ সময়
তিনি অসুস্থ ছিলেন। তাকে থানায় নেওয়ার আগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসা শেষে তাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে
পাঠানো হয়।”
তবে উজ্জ্বলের বড় ভাই কেশবপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর
বিএনপি নেতা জোবায়ের হোসেন বলেন, “কোনো গণপিটুনির ঘটনা ঘটেনি। আইনশৃঙ্খলা
বাহিনীর নির্যাতনে উজ্জ্বলের মৃত্যু হয়েছে।”
যশোর জেলা যুবদলের সদস্যসচিব আনসারুল হক রানা বলেন, নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উজ্জ্বলকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
