মঙ্গলবার ২ ডিসেম্বর ২০২৫
১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
গুমের দায়ে হতে পারে মৃত্যুদণ্ড অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশ
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১২:৪৩ এএম আপডেট: ০২.১২.২০২৫ ১:১৭ এএম |



  গুমের দায়ে হতে পারে মৃত্যুদণ্ড অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশগুমের দায়ে মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন সাজার বিধান রেখে ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ’- এর গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। এ আইনে গুমের আদেশ বা অনুমতি দানকারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা কমান্ডারদেরও সমান সাজার বিধান রাখা হয়েছে।
সোমবার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশ করে। অধ্যাদেশে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার ট্রাইবুনাল গঠনের কথা বলা হয়েছে। এই অধ্যাদেশের অধীনে অপরাধ হবে জামিন ও আপস অযোগ্য।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করার আগ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির অবস্থান ‘রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে’ গোপন রাখা যাবে।
গত ৬ নভেম্বর এ অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ, যেখানে বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন এবং অভিযোগ গঠনের ১২০ কার্যদিবসের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারী বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্য যদি কোন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার, আটক, অপহরণ বা স্বাধীনতা হরণ করার পর বিষয়টি অস্বীকার করে অথবা ওই ব্যক্তির অবস্থান, অবস্থা বা পরিণতি গোপন রাখে এবং এ কাজের ফলে ওই ব্যক্তি আইনগত সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত হন তাহলে কাজটি গুম বা শাস্তিযোগ্য ফৌজদারী অপরাধ বলে গণ্য হবে। দায়ী ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ বছরের কারাদণ্ডের দণ্ডিত হবে।
আর গুমের ফলে কোনো ব্যক্তির মৃত্যু ঘটলে বা গুমের পাঁচ বছর পরেও তাকে জীবিত বা মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব নাহলে দায়ী ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
অধ্যাদেশে বলা হয়, যদি কোনো ব্যক্তি গুমের স্বাক্ষ্য-প্রমাণ নষ্ট করেন বা গুমের উদ্দেশে গোপন আটককেন্দ্র নির্মাণ, স্থাপন বা ব্যবহার করেন, তাহলে সাত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা কমান্ডারদের জন্যও সাজার বিধান রয়েছে অধ্যাদেশে।
সেখানে বলা হয়েছে, যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা কমান্ডার বা দলনেতা এ ধরনের অপরাধ সংঘটনে অধস্তনদের আদেশ, অনুমতি, সম্মতি, অনুমোদন বা প্ররোচনা দেন, কিংবা নিজেই অংশ নেন, তাহলেও তিনি মূল অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা কমান্ডারের অবহেলা বা অদক্ষতার কারণে অধস্তনরা এমন কোনো কর্মকাণ্ডে জড়ালেও সাজা পেতে পারেন সেই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, শৃঙ্খলা বজায় রাখা বা অধস্তনদের নিয়ন্ত্রণ বা তত্ত্বাবধান করার ব্যর্থতার ফলে অধস্তনরা যদি এ ধরনের অপরাধ করে তাহলেও তিনি মূল অপরাধের দায়ে দণ্ডিত হবেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক হলেও তার অনুপস্থিতিতে বিচার সম্পন্ন করা যাবে বলে অধ্যাদেশে বলা হয়েছে। আর গুম হওয়া ব্যক্তির সম্পত্তি ব্যবহার বা হস্তান্তরের বিষয়ে এই অধ্যাদেশে পৃথক ধারা রয়েছে।















http://www.comillarkagoj.com/ad/1752266977.jpg
সর্বশেষ সংবাদ
হাসিনার সাথে সাজা রেহানা-টিউলিপের
যে কারণে টিউলিপের সাজা
লাকসামে রেললাইনের পাশ থেকে মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৯
কুমিল্লায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় হাজী ইয়াছিনের উদ্যোগে ধারাবাহিক দোয়া
কুমিল্লা নগরী যানজটমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
চুরির ঘটনা রূপ নিলো বিএনপি এলডিপির রাজনৈতিক সংঘর্ষে পরিস্থিতি
সরকারি মাধ্যমিকের বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে সংশয়
কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ শিক্ষক পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন
১ লাখ ছাড়ালো প্রবাসী ভোটার, নিবন্ধনে জেলাভিত্তিক দ্বিতীয় স্থানে কুমিল্লা
কুমিল্লায় যোগ দিলেন নতুন পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: newscomillarkagoj@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২