
হার্ভি
বারণসের ঝলকে শনিবার রাতে ম্যানচেস্টার সিটিকে ২-১ গোলে হারিয়ে পূর্ণ তিন
পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে নিউক্যাসল ইউনাইটেড। সেন্ট জেমস’ পার্কে এই জয়ে এডি
হাও-এর দলের বড় স্বস্তি মিলল। কারণ, ম্যাচের আগে তারা ছিল পয়েন্ট টেবিলের
১৫ নম্বরে, অবনমন অঞ্চলের ঠিক ওপরে।
৬৩ ও ৭০ মিনিটে দ্রুত দুই গোল করে
একা হাতে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন সাবেক লেস্টার উইঙ্গার হার্ভি বারণস।
মাঝখানে রুবেন দিয়াসের সমতাসূচক গোল সিটিকে টিকিয়ে রাখলেও শেষ পর্যন্ত
নিউক্যাসলের উচ্ছ্বাসেই ভেসে যায় ম্যাচ। এ ছিল হাও-এর জন্য সিটির বিপক্ষে
প্রিমিয়ার লিগে ১৯ ম্যাচ পর পাওয়া প্রথম জয়।
ম্যাচের শুরুতেই যেন গোল
পেতে যাচ্ছিল নিউক্যাসল। জোয়েলিনটন ডোনারুমার ভুল পাস কেটে ফেললেও বারণসের
শট সোজা চলে যায় ইতালিয় গোলরক্ষকের গায়ে। অপরপ্রান্তে আরলিং হালান্ডও ছিলেন
বিস্ময়করভাবে অদক্ষ। জেরেমি ডোকুর নিখুঁত থ্রু বল পেয়েও বাঁ পায়ের শটে
বাইরে পাঠান বল।
রায়ান চার্কির তীক্ষ্ণ শট ঠেকিয়ে দেন নিক পোপ।
দোনারুম্মাও পিছিয়ে থাকেননি; জ্যাকব মারফির ক্রস থেকে নিক ভোলটেমাডের
শক্তিশালী হেড তিনি চমৎকার প্রতিক্রিয়ায় ঠেকিয়ে দেন। টিনো লিভরামেন্তো
হালান্ডের নিশ্চিত গোল রুখে দেন। ফোডেনও সুযোগ পেয়েও লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ হন।
৩১
মিনিটে আবারও সুবর্ণ সুযোগ পান বারণস। মারফির নিচু ক্রস থেকে যথার্থ
ফিনিশিং করতে পারেননি তিনি। এরপর পোপ অদ্ভুত দক্ষতায় ঠেকান হালান্ডের হঠাৎ
টার্ন-অ্যান্ড-শুট শট।
তীব্র উত্তেজনায় ভরা প্রথমার্ধে একের পর এক সুযোগ সৃষ্টি হলেও শেষ দিকে কোনো গোল হয়নি।
৫৯
মিনিটে ফোডেনের ক্রসে হালান্ডের হেডও সোজা পোপের হাতে চলে যায়। সিটির দখল
ছিল প্রবল। কিন্তু নিউক্যাসলের রক্ষণভাগ হয়ে ওঠে অপ্রবেশ্য দেয়াল।
এর
মধ্যেই ৬৩ মিনিটে নিজেদের প্রথম সংগঠিত আক্রমণ থেকেই গোল পায় স্বাগতিকরা।
জোয়েলিনটনের ছোট পাস থেকে গুইমারায়েস বল বাড়ান বারণসকে। দ্বৈত ওয়ান-টু পাসে
জড়িয়ে বক্সের বাইরে থেকে চমৎকার শটে ডোনারুমাকে পরাস্ত করেন তিনি।
পাঁচ
মিনিটের মাথায় সমতায় ফেরে সিটি। চার্কির কর্নার ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে
রুবেন দিয়াসের শট ফ্যাবিয়ান শেয়ারের পায়ে লেগে দিক বদলে জালে জড়ায়। কিন্তু
মাত্র দুই মিনিট পরই আবার আঘাত হানে নিউক্যাসল। গুইমারায়েসের হেড বার
পোস্টে লাগলে রিবাউন্ড থেকে ঠিক জায়গায় দাঁড়িয়ে বারণস ঠাণ্ডা মাথায় বল
জড়িয়ে দেন জালে। তার ব্যক্তিগত দ্বিতীয় গোল।
শেষদিকে সিটি আক্রমণের সব
অস্ত্রই উন্মুক্ত করেছিল। কিন্তু আট মিনিটের স্টপেজ টাইমে হাও-এর শিষ্যদের
দৃঢ় রক্ষণ আর ঠাণ্ডা মাথার ফুটবলে তিন পয়েন্টই ধরে রাখে নিউক্যাসল। সেন্ট
জেমস’ পার্কে এক উত্তাল রাত। আর নায়ক একটজনই- হার্ভি বারণস।
