শুক্রবার ৭ নভেম্বর ২০২৫
২৩ কার্তিক ১৪৩২
৭ নভেম্বর:
স্বাধীনতা রক্ষার দিন
মায়মুন শরীফ রাইয়ান
প্রকাশ: শুক্রবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৫, ১২:৪৮ এএম আপডেট: ০৭.১১.২০২৫ ১:৪০ এএম |

স্বাধীনতা রক্ষার দিন
৭ নভেম্বর- বিপ্লব ও সংহতি দিবস বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন। এই দিনটি কেবল একটি তারিখ নয়- এটি আমাদের জাতির জীবনে ঐক্য, দেশপ্রেম, আত্মমর্যাদা ও গণমানুষের শক্তির প্রতীক হিসেবে চিরস্থায়ী হয়ে আছে। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সৈনিক ও সাধারণ জনগণ একযোগে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় ঐক্য রক্ষায় যে ভূমিকা রেখেছিল, তা ইতিহাসের পৃষ্ঠায় স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ। ৭ নভেম্বর তাই শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের স্মারক নয়; এটি জাতীয় সংহতি, পারস্পরিক বিশ্বাস ও দেশপ্রেমের এক অনন্য উদাহরণ। এই দিবস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়- জাতীয় সংকটের মুহূর্তে জনগণ ও সেনাবাহিনীর ঐক্যই রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ও অগ্রগতির মূল ভিত্তি।
বিপ্লব ও সংহতি দিবসের তাৎপর্য উপলব্ধি করতে হলে ১৯৭৫ সালের নভেম্বরে সংঘটিত ঘটনাবলির পটভূমি জানা জরুরি। পঁচাত্তরের নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের ঘটনাবলির শিকড়, নভেম্বরেই নিহিত নয়, এই অস্থির সময়ের বীজ রোপিত হয়েছিল ১৯৭১ এর যুদ্ধ চলাকালেই। মুক্তিযুদ্ধকালীন ভারতের অভিপ্রায় ও কার্যক্রম ঘিরে প্রবাসী সরকার ও মুক্তিবাহিনীর মধ্যে অস্বস্তি তৈরি হয়। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের সময় প্রবাসী সরকার ও মুক্তিবাহিনীকে দূরে রাখা, আত্মসমর্পণকারী বাহিনীর অস্ত্র ভারতীয় সেনাবাহিনীর দখলে চলে যাওয়া, ফারাক্কা বাঁধের মাধ্যমে পানিবণ্টনে একতরফা আচরণ এবং ২৫ বছরের মৈত্রী চুক্তি- সব মিলিয়ে স্বাধীনতার পর থেকেই সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন ও ক্ষোভ জমতে থাকে।
স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা, লুটপাট ও দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে এক গভীর সঙ্কট সৃষ্টি করে। রক্ষীবাহিনী গঠন করে বিরোধীদের দমন শুরু হয়; জাসদের নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন চলে, হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষে সরকারি অব্যবস্থাপনা, লুটতরাজ ও খাদ্যসংকটের কারণে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা যায়। এসব ঘটনায় সরকারের জনপ্রিয়তা দ্রুত কমে আসে। ১৯৭৫ সালের ২৪ জানুয়ারি সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে একদলীয় শাসনব্যবস্থা ‘বাকশাল’ প্রতিষ্ঠিত হয়, গণতন্ত্র ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা বিলুপ্ত করা হয়। ফলস্বরূপ সেনাবাহিনী, প্রশাসন ও সাধারণ জনগণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে।
এমন পরিস্থিতিতে ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট সংঘটিত হয় বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের অন্যতম মর্মান্তিক ঘটনা। সেনাবাহিনীর একটি অংশের বিদ্রোহে শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারের নিহত হন। মুজিব মন্ত্রীসভার বাণিজ্যমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমেদ ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পর সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা ও বিভক্তি দেখা দেয়। ২৪ আগস্ট মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান নিযুক্ত হলেও তাঁর ক্ষমতা সীমিত করে রাখা হয়। সেনানিবাসে তখনও চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছিল। ১৫ আগস্টের ঘটনার পরবর্তী দিকনির্দেশনা ও দায় নির্ধারণ নিয়ে সেনা অফিসারদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়।
এই উত্তেজনাপূর্ণ প্রেক্ষাপটে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশারফের নেতৃত্বে ৩ নভেম্বর এক প্রতিবিপ্লবী অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়। এই অভ্যুত্থানে জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দি করা হয় এবং প্রধান বিচারপতি এএসএম সায়েমকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দেওয়া হয়। ভারতের সংবাদমাধ্যমে এই অভ্যুত্থানকে “ঐতিহাসিক” বলে আখ্যা দেওয়া হলেও, বাংলাদেশের সাধারণ সৈনিক ও জনতার কাছে এটি ভারত-সমর্থিত একটি অভ্যুত্থান বলে বিবেচিত হয়েছিল। সৈনিকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় জিয়াউর রহমানের বন্দিত্ব তাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠে। মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গণের বীর সেনানায়ক, স্বাধীনতার ঘোষক এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ সামরিক নেতা হিসেবে জিয়া তখন সাধারণ মানুষের হৃদয়ে গভীরভাবে জায়গা করে নিয়েছিলেন।
ঠিক এই সময় জাসদপন্থী একটি গোপন সংগঠন বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা সক্রিয় হয়ে ওঠে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল জাসদের সশস্ত্র অঙ্গ সংগঠন গণবাহিনীর। তারা চেয়েছিল একটি সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব ঘটিয়ে “অফিসারমুক্ত সেনাবাহিনী” গঠন করতে। “সিপাহী সিপাহী ভাই ভাই, অফিসারের রক্ত চাই”- এই স্লোগানেই তারা প্রস্তুতি নেয় এক ব্যাপক বিদ্রোহের। চলমান অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তার সুযোগে তারা অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল এম এ তাহেরের নেতৃত্বে ক্ষমতা দখলের পরিকল্পনা সাজায়।
৩ নভেম্বরের ঘটনার পর সেনানিবাসে ক্রমে ফুঁসে উঠছিল ক্ষোভ। সৈনিকরা উপলব্ধি করে- যদি জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করা না যায়, তবে দেশ একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত হবে। ৬ নভেম্বরের গভীর রাতে, অর্থাৎ ৭ নভেম্বর ভোরে শুরু হয় সেই ঐতিহাসিক সৈনিক বিদ্রোহ। ঢাকা সেনানিবাসের বিভিন্ন প্রান্তে সিপাহিরা ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে বিদ্রোহের সূচনা করে। মেজর মহিউদ্দিন ও সুবেদার মেজর আনিসুল হকের নেতৃত্বে দেশপ্রেমিক সৈনিকরা গৃহবন্দি অবস্থা থেকে মুক্ত করেন জেনারেল জিয়াউর রহমানকে।
সকালে সেনানিবাস থেকে ট্রাক, ট্যাংক ও গাড়িতে করে সৈনিকরা রাস্তায় বেরিয়ে আসে। সাধারণ জনতাও এসে তাদের সাথে যোগ দেয়। জনতা সামরিক ট্রাক ও ট্যাংকের ওপর উঠে আনন্দ করতে থাকে। তৈরি হয় সিপাহী-জনতার এক অভূতপূর্ব সংহতি, অবিস্মরনীয় বিপ্লব। রাস্তা জুড়ে “জিয়াউর রহমান জিন্দাবাদ”, “বাংলাদেশ জিন্দাবাদ” স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে ঢাকা শহর। জিয়াউর রহমান রেডিওতে ভাষণ দিয়ে জাতির উদ্দেশে আহ্বান জানান শান্তি ও সংহতির। তাঁর দৃঢ় নেতৃত্ব, দেশপ্রেমিক অবস্থান ও জনপ্রিয়তার ফলে সেদিন সূর্য উদয়ের ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই জাসদপন্থি প্রতিবিপ্লবের স্বপ্ন ভেস্তে যায়। আগ্রাসন ও ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে দেশের স্বাধীনতা,সার্বভৌমত্ব ও অস্তিত্ব রক্ষায় সিপাহি- জনতার এই সম্মিলিত বিপ্লবের দিনটিকে তাই নাম দেয়া হয় সিপাহী জনতার বিপ্লব তথা বিপ্লব ও সংহতি দিবস।
১৯৭১ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নৃশংস আক্রমণে সমগ্র দেশ যখন রক্তাক্ত ও স্তব্ধ, রাজনৈতিক নেতৃত্ব ছিল দিশাহীন, পলায়নপর, আর জাতি তখন গভীর হতাশা ও বিভ্রান্তির অন্ধকারে নিমজ্জিত- সেই মহা সংকটের মুহূর্তে, অন্ধকারের বুক চিরে উদিত হয় এক বিপ্লবী, বিদ্রোহী সৈনিক। চট্টগ্রামের আকাশে ভেসে আসে তাঁর কণ্ঠ- “আমি, মেজর জিয়াউর রহমান, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিচ্ছি।” সেই দীপ্ত উচ্চারণে যেন ঘুমন্ত জাতি মুহুর্তেই জেগে ওঠে, সাহস ফিরে পায়, খুঁজে পায় মুক্তির মন্ত্র। জিয়ার সেই সাহসী আহ্বানই হয়ে ওঠে স্বাধীনতার প্রথম দিগন্ত, হয়ে ওঠে জাতির পুনর্জাগরণের শপথ। ঠিক সেদিনের মতো ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর- এক দিশাহীন, নেতৃত্বশূন্য, বিভ্রান্ত সময়ে রাষ্ট্র ও সেনাবাহিনী যখন দিকহারা, ভাতৃঘাতী সংঘাতে  নিমজ্জিত,  তখন আবারও সেই দৃপ্ত কণ্ঠ, সেই অদম্য সাহস, সেই অবিচল নেতৃত্ব- মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান এগিয়ে আসেন স্বাধীনতা হারাতে বসা এক সংকটাপন্ন জাতির হাল ধরতে। 
কিন্তু কাজটা ছিল ভীষণ কঠিন আর চ্যালেঞ্জিং। তাঁর প্রথম কাজ ছিল বিদ্রোহের পর সেনাবাহিনীর শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, অফিসারদের রক্ত নিতে চাওয়া সৈনিকদের হাতে থাকা অস্ত্র জমা নিয়ে তাদের ব্যারাকে ফিরিয়ে আনা। সৈনিকদের ক্ষোভ প্রশমন ও অফিসারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনি দ্রুত পদক্ষেপ নেন। অত্যন্ত শান্ত কিন্তু দৃঢ় মনোভাব ও বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি সৈনিকদের ওপর অফিসারদের নিয়ন্ত্রণ পুনঃস্থাপনে কাজ শুরু করেন। নভেম্বর-ডিসেম্বর জুড়ে সেনাবাহিনীতে যে নিত্য অভ্যুত্থান পরিস্থিতি চলছিল, জিয়াউর রহমান তাঁর প্রজ্ঞা, ধৈর্য ও দূরদর্শিতার মাধ্যমে সেই পরিস্থিতি সামলাতে সক্ষম হন। ধীরে ধীরে সেনানিবাসে শৃঙ্খলা ও স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসে। তিনি দেশের ভেঙে পড়া রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও সামরিক কাঠামো ঠিক করে জাতিকে চরম অস্থিতিশীলতা থেকে স্থিতিশীলতা ও ঐক্যের পথে ফিরিয়ে আনেন। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে তিনি একদলীয় বাকশালী ব্যবস্থার পরিবর্তন করে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, সংবাদপত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনেন। উন্নয়ন, উৎপাদনমূখী রাজনীতি এবং ভিশনারী নানা কর্মসুচির মাধ্যমে  তিনি  আধুনিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ভিত্তি রচনা করেন।
৭ নভেম্বরের বিপ্লব ও সংহতি কেবল একটি ঐতিহাসিক ঘটনা নয়; এটি স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। এই দিনে সিপাহী-জনতার সম্মিলিত শক্তি রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে জাতিকে নতুন করে আত্মবিশ্বাস ও গর্বে উজ্জীবিত করে। জাতির সংকটময় মুহূর্তে যে ঐক্য, স্বনির্ভরতা ও দেশপ্রেমের চেতনা জাগ্রত হয়েছিল, তা আজও আমাদের পথপ্রদর্শক। বর্তমান বৈশ্বিক অস্থিরতা, আঞ্চলিক আধিপত্যবাদ ও নানা ষড়যন্ত্রের প্রেক্ষাপটে ৭ নভেম্বরের চেতনা আজও সমান প্রাসঙ্গিক। এই দিন আমাদের বার্তা দেয়- জনগণ ও সেনাবাহিনীর ঐক্যই রাষ্ট্রের স্বাধীনতা, স্থিতি, গণতন্ত্র ও অগ্রগতির মূল শক্তি। ২৪ এর গণভ্যুত্থানে আমরা সৈনিক-জনতার সেই শক্তি ও সাফল্যের স্বাক্ষী হয়েছি আরেকবার।
লেখক- প্রভাষক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সরকারি মডেল কলেজ












http://www.comillarkagoj.com/ad/1752266977.jpg
সর্বশেষ সংবাদ
আজজাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস
আমাকে একবার পরীক্ষা করে দেখুন; আমার দ্বারা কারও কোন ক্ষতি হবে না -মনিরুল হক চৌধুরী
নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছায় সিক্ত মনির চৌধুরী
হাজী ইয়াছিনের মনোনয়ন প্রত্যাশায় রোজা ও গণ-ইফতার
হোমনায় সেলিম ভূইয়ার বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল, কুশপুত্তলিকা দাহ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
কুমিল্লায় ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে বিএনপি
মনিরুল হক চৌধুরীকে সমর্থন জানিয়েছেন কুসিকের সাবেক কাউন্সিলররা
কুমিল্লা-১০ আসনে রেলপথ ও মহাসড়ক আটকে বিক্ষোভ
আনন্দযাত্রা পরিণত হলো চিরবিদায়ে
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে কুমিল্লায় প্রস্তুতি সভা
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: newscomillarkagoj@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২