দেবিদ্বার
প্রতিনিধি: আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে পরিষদেএকনায়কতন্ত্র কায়েম ও উন্নয়ন
না করে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে কুমিল্লার দেবিদ্বারউপজেলার ভানী
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী জালাল উদ্দিন ভ‚ঁইয়ার বিরুদ্ধে অনাস্থা
প্রকাশকরে তার অপসারণ দাবি জানান ইউপি সদস্যরা। পরে এলাকাবাসীর আয়োজনে
চেয়ারম্যানের ফাঁসির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করা হয়।
রবিবার
দুপুরে ভানী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মানববন্ধন কর্মস‚চী পালন করা হয়। এ
কর্মস‚চীতে গ্রামের কয়েকশো নারী-পুরুষ অংশ নেয়। ভানী ইউপি চেয়ারম্যান হাজী
জালাল উদ্দিন ভ‚ঁইয়া গত ৪ আগষ্ট ছাত্রজনতার আন্দোলন চলাকালে দেবিদ্বার
পৌরসভার স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রাজ্জাক রুবেল ও সাব্বির হোসেন হত্যা
মামলার এজহার নামীয় আসামী। তিনি ওই মামলায় সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পান।
মানববন্ধনে
বক্তারা অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন হত্যার মামলায় জামিনে মুক্ত
হয়ে এলাকায় আবারও ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের চেষ্টা করছে।একই দিন বিকেলে
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো.মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে ইউনিয়ন পরিষদের আটজন
ইউপি সদস্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার(ইউএনও) বরাবর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে
অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বলেন,
“চেয়ারম্যান জালাল আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে পরিষদে একনায়কতন্ত্র কায়েম
করার চেষ্টা করছে । এলাকার উন্নয়ন না করে বরাদ্দকৃত টাকা নিজের পকেটে
ভরেছেন। হত্যা মামলায় জড়িত থাকার পরও জামিনে এসে পুনরায় দাপট দেখাচ্ছেন।
তাই তার অপসারণ চেয়ে আমরা ইউএনওর কাছে আবেদন করেছি। অনাস্থা দেওয়া
মেম্বাররা হলেন, মনিরুলইসলাম, জালাল উদ্দিন, আবদুল হাকিম, বিল্লাল হোসেন,
ফয়জন নেছা, গিয়াস উদ্দিন, শফিকুলইসলাম ও মো. নজরুল ইসলাম।এর আগে মানববন্ধনে
বক্তব্য দেন, ভানী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ, অধ্যাপক মো.
রুহুল আমিন, মনিরুজ্জামান ফরাজী, হুমায়ুন কবির বকুল, শুভ হাজারী, মো. শফিক
ভ‚ঁইয়া, আ.আউয়াল সরকার, ছোটন ভ‚ঁইয়া, আলম সরকার, সুমন হাজারী, আব্দুল মালেক
মাস্টার, ফয়েজ খানসহ অনেকে। এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও চেয়ারম্যানহাজী
জালাল উদ্দিন ভ‚ঁইয়ার মোবাইল ফোনে তাকে পাওয়া যায়নি। দেবিদ্বার উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাকিবুল ইসলাম বলেন, “আমি তিন দিনের প্রশিক্ষণে
দেবিদ্বারের বাইরে রয়েছি। তাই বিস্তারিত বলতে পারছি না। তবে অনাস্থা
দেওয়ার বিষয়ে এক মেম্বার আমাকে ফোনে জানিয়েছেন।