তানভীর দিপু:
কুমিল্লা
ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র
করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে মূলহোতা
সিফাতসহ ২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে
সংঘর্ষের পর পুলিশ ও র্যাব নগরীর বিভিন্ন স্থানে যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের
গ্রেফতার করে। এর মধ্যে পুলিশের অভিযানের ১৬ জন এবং র্যাবের অভিযানে ৮
জনকে গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার দুপুরে র্যাব-১১ এর কুমিল্লা কোম্পানি
কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম ও কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম যৌথ
অভিযানে তাদেরকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পুলিশ জানায়, রবিবার
দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে
তর্কাতর্কির একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এসময় আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র
নিয়ে হামলা চালানো হয়। ঘটনাস্থলে চারজন গুরুতর আহত হন। তারা হলেন-
মোস্তাফিজুর রহমান, অনয় দেবনাথ, মাহিন ও রিজভী। তারা কুমিল্লার বিভিন্ন
কলেজের শিক্ষার্থী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে উচ্চ মাধ্যমিকের
ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী জিসান ও তাহফিদের সঙ্গে বিজ্ঞান বিভাগের
শিক্ষার্থী তানভীন সিফাতের কথা কাটাকাটি হয়। পরে সিফাত তার বাহিরের
বন্ধুদের নিয়ে কলেজে আসে এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। সংঘর্ষের
ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে কলেজজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিও
ফুটেজে দেখা যায়, এক তরুণ হাতে রামদা নিয়ে দৌড়াচ্ছে এবং আরেকজনের হাতে
পিস্তল। তদন্তে জানা গেছে, ভিডিওতে অস্ত্রধারী ওই তরুণ সিফাত।
ওসি মহিনুল ইসলাম জানান, “ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। এতে ৬৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।”
জেলা
গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ বলেন, “সংঘর্ষের
ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরপরই অভিযান শুরু হয়। রাতভর অভিযান চালিয়ে মূলহোতাসহ
১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
র্যাব-১১
এর অধিনায়ক মেজর সাদমান ইবনে আলম বলেন, “ঘটনার ভিডিও প্রকাশের পর দেশজুড়ে
আলোড়ন সৃষ্টি হয়। র্যাব তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে।
তাদের আদালতে পাঠানো হবে।”