কুমিল্লার
তিতাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলার ঘটনায়
দায়ের করা মামলার এজাহার নামীয় ৩ নম্বর আসামি দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের
সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সুমনকে দাউদকান্দি থানার মামলায় গ্রেফতারের
পর তিতাস থানার মামলাতেও গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করা হয়েছে।
গতকাল রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই (নি:) উত্তম কুমার দাস আদালতে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।
জানা
যায়, গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর দায়ের করা তিতাস থানার মামলা নং-৩ এর
তদন্তকারী কর্মকর্তা গত ৬ অক্টোবর দাউদকান্দি থানায় গ্রেফতার হওয়া আসামি
সুমনকে তিতাস থানার মামলায়ও গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। আবেদনে উল্লেখ
করা হয়, এজাহারনামীয় ৩ নম্বর আসামী মোহাম্মদ আলী সুমন (৫০), পিতা সুবেদ আলী
ভ‚ঁইয়া, গ্রাম জুরানপুর, দাউদকান্দিকে দাউদকান্দি থানার পৃথক মামলা (মামলা
নং ০৯, তারিখ ২৮/০৮/২০২৪, জিআর নং ২৩২/২৫)এর অধীনে ৬ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে
গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চলতি
বছরের ৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফা
দাবির মিছিল কড়িকান্দি এলাকায় পৌঁছালে আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে
অস্ত্রশস্ত্রসহ হামলা চালায়। এ সময় বাদীকে লক্ষ্য করে পিস্তল, শর্টগান,
রাইফেল দিয়ে গুলি ছোড়া হয় এবং রড, পাইপ ও বাঁশের লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা
হয়। হামলায় বাদী গুরুতর আহত হন এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫
দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এছাড়া হামলার সময় বাদীর প্যান্টের পকেট থেকে এক
লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগও এজাহারে উল্লেখ রয়েছে। তদন্তে
প্রাথমিকভাবে আসামীদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা, চুরি ও বিস্ফোরক দ্রব্য
ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
তদন্ত
কর্মকর্তা আদালতের নিকট আবেদন করেন, দাউদকান্দিতে গ্রেফতার হওয়া মোহাম্মদ
আলী সুমনকে তিতাস থানার মামলায়ও গ্রেফতার দেখানোর আদেশ প্রদান করা হোক।