নিজস্ব
প্রতিবেদক: রাষ্ট্র সংস্কারের সিদ্ধান্ত ও বাস্তবায়নের অঙ্গীকারনামা
সম্বলিত জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে জাতীয়
সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় মঞ্চ তৈরিসহ আনুষঙ্গিক কাজ শুরু হয়েছে। সনদে সইয়ের
অনুষ্ঠানের স‚চি এখনও চ‚ড়ান্ত না হলেও সেদিনের আনুষ্ঠানিকতার জন্য
প্রয়োজনীয় সাজসজ্জার কাজে নেমে পড়েছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সেদিন
সেখানে বিভিন্ন প্রদর্শনীর আয়োজন থাকবে বলে আভাস দিয়েছেন এ মন্ত্রণালয়ের
উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
সোমবার সংসদ ভবন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মঞ্চ তৈরির পাশাপাশি জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় সাজসজ্জা নিয়ে কাজ করছেন অনেকে।
আগামী ১৭ অক্টোবর শুক্রবার জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এক অনুষ্ঠানে সনদে সই করার কথা রয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর।
অনুষ্ঠানে নেতৃত্ব দেবেন অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি মুহাম্মদ ইউন‚স।
এতে সারাদেশ থেকে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন উপস্থিত থাকবেন।
সংসদের
দক্ষিণ প্লাজার সিঁড়ির মাঝামাঝিতে তৈরি হবে স্বাক্ষর মঞ্চ। সেখানে প্রায়
তিন হাজার অতিথিদের বসার ব্যবস্থা থাকবে বলে তথ্য দিয়েছেন অনুষ্ঠান আয়োজনের
সংশ্লিষ্টরা।
এ অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়ার পরদিন রোববার থেকে এর
সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় সংস্কৃতি উপদেষ্টা
ফারুকী কাজ শুরু করেছেন।
সোমবার বিকালে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান উপদেষ্টার
বিশেষ সহকারী মনির হায়দার, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব কানিজ মওলাসহ কয়েকজন
প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করছেন।
প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে উপদেষ্টা
ফারুকী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জুলাই সনদ বাংলাদেশের ৫৪ বছরের
ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপ‚র্ণ ঘটনা হতে যাচ্ছে। এটি রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে
যেমন গুরুত্বপ‚র্ণ তেমনি সামাজিক সংস্কৃতিতেও প্রভাব ফেলবে। এ কারণে
অনুষ্ঠানটিকে প্রত্যেকের জীবনে স্মরণীয় করে রাখার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
আয়োজনে কী থাকছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রস্তুতির সময় খুব কম থাকায় এখনও চ‚ড়ান্ত হয়নি অনুষ্ঠানস‚চি।
“এই
কম সময়ের মধ্যে আমরা কী করতে পারি সেটার এখনও গবেষণা চলছে। কালকে
(মঙ্গলবার) সকালের মধ্যে আমরা চ‚ড়ান্ত করব যে কী কী করা যাচ্ছে। প্রজেকশন
থাকবে, সেখানে আমাদের দীর্ঘ যাত্রা কীভাবে হয়েছে সেটার পুরাটা দেখা যাবে।
জুলাইয়ের যে পটভ‚মি, সেই পটভ‚মিটা তুলে ধরা হবে। এটা যেন স্মরণীয় হয় সে
চেষ্টা আমরা করব।”
অনুষ্ঠানে অভ্যুত্থানের অনুভ‚তি তৈরির আবহ তৈরি করার
কথা তুলে ধরে ফারুকী বলেন, “এখানে যারা আসবে, তারা যখন এখান থেকে চলে যাবে
তারা যেন এই স্মৃতিটা নিয়ে যায় যে আমরা কোত্থেকে এখানে আসছি। অর্থাৎ ৫
আগস্ট একটা সরকারবিহীন অবস্থা এরপরে দীর্ঘদিন পুলিশবিহীন অবস্থা, প্রশাসন
ভেঙে পড়ছে, সেখান থেকে পুরো বাংলাদেশের মানুষ যখন সবাই এক হয়ে দেশটা
প্রটেক্ট করছে, নিজের এলাকা পাহারা দিয়েছে। কোনো বড় অঘটন ঘটে নাই, আমরা
আবার সবাই এক হয়েই বাংলাদেশটা তৈরি করব।
