চৌদ্দগ্রাম
প্রতিনিধি: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ২২টি পূজা মন্ডপে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের
সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসবের প্রস্তুতি চলছে। পূজার দিন
যতই ঘনিয়ে আসছে শিল্পীদের ততই ব্যস্ততা বাড়ছে। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। রঙ-তুলির
আঁচড়ে প্রতিমার সাজসজ্জা ও সৌন্দর্য বাড়াতে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা।
কেউ প্রতিমার হাত-পা তৈরি করছেন, কেউ মাটি লাগাচ্ছেন, কেউ আবার রঙ করছেন।
সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কাজ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে,
চৌদ্দগ্রাম পৌর এলাকার চান্দিশকরার নাথ বাড়ি, কালী মন্দির, সেনবাড়ি কালী
মন্দির, কালিকাপুর ইউনিয়নের আবদুল্লাহপুর চৌধুরী বাড়ি পূজা মন্ডপ, ঘোলপাশা
ইউনিয়নের উজানমুড়ি কালিবাড়ি পূজা মন্ডপ, বাতিসা নকুল শীলের বাড়ি পূজা
মন্ডপ, বর্দৈন কর্মকার বাড়ি পূজামন্ডপ, পোটকরা সার্বজনীন পূজামন্ডপে
প্রতিমা তরীর পাশাপাশি চলছে সাজসজ্জার কাজ। কোন কোন প্রতিমার গায়ে পড়ানো
হচ্ছে শাড়ি, হাতের বালাসহ অন্যান্য গয়না।
মৃতশিল্পী সঞ্জয় বলেন, দাদা
এবং বাবার পর আমি গত ২০ বছর ধরে এ শিল্পের সাথে জড়িত। লক্ষ্মী, সরস্বতী,
কার্তিক, গণেশ, ময়ূর, প্যাঁচা ও দেবী দুর্গার মূর্তি গড়ার কাজ শেষ হলেও
সৌন্দর্য বাড়াতে চলছে শেষ মুহূর্তের রঙতুলি।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন
পরিষদ, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সভাপতি বাবু প্রমদ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, সনাতন
ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা। প্রতি
বছরের মতো এবারও চৌদ্দগ্রামে ২২টি পূজা মন্ডপে এ উৎসব জাঁকজমকভাবে উদযাপন
করা হবে। উঁচু-নিচুর বিভেদ ভুলে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে একত্রিত করে
মিলনমেলার রূপ নেয় বলেই এ পূজাকে সার্বজনীন পূজা বলা হয়।
চৌদ্দগ্রাম
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সনাতন
ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এ উৎসবকে সামনে রেখে
প্রশাসনিকভাবে প্রতিটি পূজা মন্ডপে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ
দায়িত্ব পালন করবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জামাল হোসেন বলেন,
‘সকল পূজামন্ডপের নেতৃবৃন্দের সাথে সভা ও পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
বিভিন্ন পূজা মন্ডপে প্রতিমা তৈরি কাজ পরিদর্শন করেছি। উপজেলা প্রশাসন থেকে
প্রতিটি মন্দিরে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে’।