নিজস্ব
প্রতিবেদক: কুমিল্লার মুরাদনগরে নারীকে ধর্ষণ ও পাশবিক নির্যাতনের ঘটনায়
অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন রাজনীতিবিদরা।
রবিবার
(২৯ জুন) সকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির মো. শফিকুর রহমান ফেসবুক
স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘কুমিল্লার মুরাদনগরে একজন নারীর ওপর পাশবিক নির্যাতন
একান্তই লজ্জাজনক একটি ঘটনা। লম্পটদের যেকোনো মূল্যে পাকড়াও করে আইনের
আওতায় আনতে হবে এবং কঠোর শাস্তি দিতে হবে। খুঁটির জোর যাই হোক, তাকে
কোনোভাবেই পাত্তা দেওয়া যাবে না। অন্যথায় এই সমাজ আপাদমস্তক একটি জংলি
সমাজে পরিণত হয়ে যাবে।’
ধর্ষণের শিকার নারীর পরিবারকে প্রয়োজনীয় সামাজিক
নিরাপত্তা ও আইনি সহায়তা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা)
চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
তিনি বলেন, ‘কুমিল্লার মুরাদনগরে নারী ধর্ষণের
ঘটনা প্রমাণ করে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কতটা নাজুক। দেশে সাধারণ
মানুষের জান-মাল ও ইজ্জতের নিরাপত্তা নেই। কেউ জানে না, কে কোথায় হেনস্থার
শিকার হবেন। নারীর ইজ্জতের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ সরকারের ক্ষমতায় থাকার
অধিকার আছে কি?’
নারীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের সঙ্গে যুক্ত ধর্ষক ও তার সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
রবিবার
বিকেলে জোটের যৌথ বিবৃতি আসে গণমাধ্যমে। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘২৬
জুন ঘটনা ঘটলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসার আগ পর্যন্ত দেশবাসী জানতে
পারেনি। এটিও সরকারের ব্যর্থতা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে
সরকারের প্রকৃত ভূমিকা প্রকাশিত হচ্ছে।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নারীরা
বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও পরবর্তী সময়ে নারীদের বিরুদ্ধে মব তৈরি করে,
সাইবার জগতে নানাভাবে নিপীড়ন-হেনস্তা করা হচ্ছে। অব্যাহত নারী
নির্যাতন-নিপীড়নের প্রতিরোধে রাষ্ট্রীয় কোনো দৃষ্টান্তমূলক উদ্যোগ
পরিলক্ষিত হয়নি বলে অভিযোগ করেন বাম নেতারা।
তারা বলেন, ‘অতীতে সংঘটিত এ
ধরনের ঘটনায় তৎক্ষণাৎ কার্যকর ব্যবস্থা নিলে এমন বীভৎস ঘটনার পুনরাবৃত্তি
ঘটতে পারত না। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সময়ে ও অতীতে লোমহর্ষক গণধর্ষণের
ঘটনা ঘটেছে। সেগুলোর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়নি। অন্তর্র্বতী সরকার নিজেদের
নারীবান্ধবের কথা বললেও নারীর প্রতি অবমাননাকর ঘটনায় সরকারের সদিচ্ছা
প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। ঘরে-বাইরে নারীসহ জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে এবং
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকার ব্যর্থতার
পরিচয় দিচ্ছে।’