রণবীর ঘোষ কিংকর।
১৯৪৭
থেকে অদ্যবধি সকল কর্মকান্ডের জন্য বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমির ডা.
সফিকুর রহমান এর নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়াকে সাধুবাদ জানিয়েছেন লিবারেল
ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. রেদোয়ান আহমেদ।
শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেলে কুমিল্লার চান্দিনায় পৌর এলডিপি’র কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি
বলেন- সম্প্রতি একটি ‘টক শো’ অনুষ্ঠানে উপস্থাপকের এক প্রশ্নের উত্তরে
জামায়াত ইসলামী আমির বলেছেন- ‘শুধু একাত্তর নয়, ১৯৪৭ সাল থেকে শুরু করে আজ
পর্যন্ত আমাদের দ্বারা যত মানুষ কষ্ট পেয়েছেন, কেউ যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে
থাকেন সেই সব মানুষের কাছে, সবার কাছে আমি নিঃশর্ত ক্ষমা চাইছি’। এই ক্ষমা
চাওয়াটা একটি রাজনৈতিক ব্যক্তির আদর্শ ও নিদর্শন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে
জামায়াত ইসলামীর নেতা-কর্মীর বিতর্কিত কর্মকান্ড স্বাধীনতার এতো বছর পরে
এসেও যখন তারা নিজেদের ভুল ও ত্রুটি উপলব্ধি করে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে
পারে, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মনে করি সেটা অবশ্যই ক্ষমার যোগ্য। আমি
ও আমার দলের পক্ষ থেকে তাঁকে (জামায়াত আমির) সাধুবাদ জানাই।
সাবেক ওই
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন- সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মতি ছাড়া এই
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোন মানবিক করিডোর দেয়ার এখতিয়ার নেই। যখন কোন
নির্বাচিত রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসবে এবং জাতীয় সংসদে বিস্তারিত আলোচনা হবে,
তারপর সিদ্ধান্ত নিবে মানবিক করিডোর দেয়া যায় কিনা?
চান্দিনা রেদোয়ান
আহমেদ কলেজ ক্যাম্পাস-২ এর মমতাজ ভবন সাবিহা আহমেদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ওই
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পৌর এলডিপি সভাপতি অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন। বিশেষ
অতিথির বক্তৃতা করেন- উপজেলা এলডিপি সভাপতি একেএম সামছুল হক মাস্টার,
এলডিপি’র কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা অধ্যক্ষ আবুল কাশেম, উপজেলা এলডিপি সাধারণ
সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু তাহের।
গণতান্ত্রিক যুবদল চান্দিনা পৌরসভা সাধারণ
সম্পাদক জামশেদ আহমেদ জাকি’র সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন- পৌর
এলডিপি সাধারণ সম্পাদক মো. শাহআলম, সহ-সভাপতি আব্দুস সামাদ কাউন্সিলর, পৌর
এলডিপি সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ সরকার, পৌর গণতান্ত্রিক যুবদল সভাপতি
মনির মাস্টার, যুগ্ম সম্পাদক আবুল বাসার, সাংগঠনিক সম্পাদক বাকি বিল্লাহ,
পৌর গণতান্ত্রিক স্বেচ্ছাসেবকদল সভাপতি মোবারক হোসেন মোবা, পৌর
গণতান্ত্রিক ছাত্রদল সভাপতি সাজ্জাত হোসেন প্রমুখ।