কুমিল্লার
চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশের খাবার হোটেলে অভিযান চালিয়ে
গাঁজা ও ইয়াবাসহ চারজনকে আটক শেষে কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার রাত ৯টা থেকে রোববার দিবাগত রাত ২টা পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা মোঃ জামাল হোসেনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় মাদক বিরোধী এ
অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে অংশ নেয়া দায়িত্বশীল সূত্র জানায়,
উপজেলার বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তার চারটি বাইক ও ভাড়া করা একটি ট্রাক নিয়ে
পাঁচটি দলে ভাগ হয়ে মাদকদ্রব্যের ক্রেতা সেজে শনিবার রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম
মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম উপজেলা অংশের বিভিন্ন হোটেলে উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা মোঃ জামাল হোসেনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় মাদক বিরোধী
অভিযান পরিচালিত হয়। গঠিত দল কয়েকটি হোটেল থেকে প্রথমে কিছু টাকার
মাদকদ্রব্য ক্রয় করে। পরে অভিযান চালিয়ে ৯১পুরিয়া গাজা এবং ৩৮পিস ইয়াবা ও
সেবনের সরঞ্জামসহ চারজনকে আটক করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাদকদ্রব্য
নিয়ন্ত্রণ অফিসের নিকট আটককৃত মাদকদ্রব্যসমূহ হস্তান্তর করে এবং সেগুলো
পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর উপস্থিতে ধ্বংস করার নির্দেশ প্রদান করে। এ সময়
কয়েকটি হোটেলের মালিক বা ম্যানেজার পালিয়ে গেলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে
মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের জন্য নাবালক শিশুদেরকে ব্যবহার করার কারণে আটক করা
গেলেও তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা কঠিন।
মহাসড়কের বাবুচি বাজারের জমজম হোটেল থেকে আটক করা চার আসামীকে মোবাইল কোর্ট
আইনের তফসিল ভুক্ত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ অনুযায়ী প্রত্যককে ৩
মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০০টাকা করে অর্থদণ্ডসহ উভয় দণ্ডে দন্ডিত করা
হয়। অভিযানকালে কর্মকর্তারা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন-মহাসড়কের পাশে এ
হোটেলগুলো যেন খাবার নয়, গাজা ও ইয়াবার মিনি কারখানা।
রোববার উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ জামাল হোসেন বলেন, ‘মাদক
একটি সামাজিক ব্যাধি। সর্বস্তরের জনগণের সম্মিলিত প্রতিরোধই পারবে পুরো
সমাজকে এই মাদকের করাল গ্রাস থেকে মুক্তি দিতে। মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের
অভিযান অব্যাহত থাকবে’।