পাওয়ার
প্লেতে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে শক্ত ভিত গড়ে দেন দুই ওপেনার তানজিদ
তামিম ও লিটন দাস। বিশেষ করে তামিম এদিন রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছেন। তার
ফিফটিতেই বড় সংগ্রহের পথ খুঁজে পায় বাংলাদেশ। যে পথ ধরে হেটেছেন নাজমুল
হোসেন শান্ত-তাওহিদ হৃদয়রা। তাতে প্রথমবারের মতো আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুইশ
ছাড়ানো সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ।
শারজায় টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে
নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। দলের
হয়ে সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেছেন তামিম।
গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান পারভেজ
হোসেন ইমনকে আজ বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। তাই তানজিদ তামিমের সঙ্গে ইনিংস ওপেন
করেন লিটন দাস। এদিন শুরু থেকেই বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালান তামিম। তার ঝোড়ো
ব্যাটিংয়ের সামনে কোনো বোলারই যেন থিতু হতে পারছিলেন না।
পাওয়ার প্লেতে
কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৬ রান করে বাংলাদেশ। প্রায় এক বছর আর ১৪ ইনিংস পর
টি-টোয়েন্টিতে উদ্বোধনী জুটিতে ফিফটি পেয়েছে দল। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার
আগেই ব্যক্তিগত ফিফটি করেন তামিম। তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এমন কীর্তি গড়েন।
২৫ বলে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। তবে এর পর আর বেশি দূর এগোতে
পারেননি। ৩৩ বলে ৫৯ রান করে ফিরেছেন এই ওপেনার।
তিনে নেমে দারুণ ব্যাটিং
করেছেন শান্ত। তার স্ট্রাইকরেট নিয়ে বেশ সমালোচনা হলেও আজ উইকেটে এসেই শট
খেলেছেন। তবে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৯ বলে করেছেন ২৭ রান। একই
পথে হেটেছেন তাওহিদ হৃদয়ও। দারুণ ব্যাটিং করা এই মিডল অর্ডার ব্যাটার
সাজঘরে ফিরেছেন ফিফটি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে। তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৪ বলে
৪৫ রান।
বাকিরা আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করলেও এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং
করার চেষ্টা করেছেন লিটন। ৩২ বলে ৪০ রান করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এ ছাড়া
শেষদিকে দারুণ ক্যামিও খেলেছেন জাকের আলি। এই উইকেটকিপার ব্যাটারের ব্যাট
থেকে ৬ বলে ১৮ রান এসেছে।