পশ্চিমবঙ্গের
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিন বাংলাদেশি
নাগরিককে গ্রেফতার করেছে রহড়া থানা পুলিশ। গ্রেফতাকৃতরা হলেন- মজনু গাজী,
মোহাম্মদ কামাল শেখ ওরফে ইদ্রিস আলী ও মোহাম্মদ মেহেদী হাসান ওরফে মিলন। ৫
দিন আগে তাদের গ্রেফতার করা হয়। রোববার (১৮ মে) তাদের তিনজনকে ব্যারাকপুর
মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
এদিকে, রোববার তাদের ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে
পাঠানোর সময় চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে। জানা যায়, তারা তিনজনই বাংলাদেশের
সাবেক ক্ষমতাসীন ও সম্প্রতি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ হওয়া দল আওয়ামী
লীগের সক্রিয় কর্মী। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ৮ আগস্ট
তারা সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেন।
পরবর্তীসময়ে পুলিশের হাত
থেকে গ্রেফতার এড়াতে রাজ্যটির ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অধীন রহড়া
থানার অন্তর্গত বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করেন। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি তাদের।
৫২
বছর বয়সী মজনুর বাড়ি খুলনার দৌলতপুর এলাকায়, ৪০ বছর বয়সী কমল শেখের বাড়ি
খুলনার বেতকাশি এলাকায়। আর মেহেদী হাসানের বাড়ির ঠিকানা জানা যায়নি।
পুলিশ
সূত্রে জানা গেছে, তিন বাংলাদেশি নাগরিকের আত্মগোপন করে থাকার খবর পেয়েই
অভিযানে নামে রহড়া থানা পুলিশ। গোয়েন্দাদের থেকে পাওয়া ওই তিন বাংলাদেশির
ছবিসহ ওই তথ্য আসে পুলিশের কাছে। সেই তথ্য অনুযায়ী রহড়ার বিভিন্ন এলাকাসহ
নিউটাউনে চালানো গোপন অভিযান থেকে ওই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
রহড়া
থেকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয় মজনু গাজী ও মোহাম্মদ কামাল শেখ ওরফে ইদ্রিস
আলীকে। তাদের উভয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর কলকাতার নিউ টাউন ঘুনি লস্কর পাড়া
এলাকা থেকে মোহাম্মদ মেহেদী হাসান ওরফে মিলনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের সবার
বিরুদ্ধেই ১৪ ফরেনারস আইনে মামলা করা হয়।
এদিন পুলিশের গাড়ির ভিতর থেকে
স্থানীয় গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের উত্তরে মোহাম্মদ কামাল শেখ ওরফে ইদ্রিস
আলী বলেন, সরকার পতনের পর, আমি গত ৮ আগস্ট বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে আসি।
আমি সেখানে ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য সচিব ছিলাম। দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা
বাড়তে থাকায় প্রাণের ভয়ে এখানে এসে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকা শুরু করি।