নিজস্ব
প্রতিবেদক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে কুমিল্লায় এক তরুণকে
হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় ব্যবসায়ী আবু তাহেরকে কারাগারে
প্রেরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে কুমিল্লার আদালতে আত্মসমপর্ণ
করে জামিন চাইতে গেলে আদালত আবু তাহেরের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে
প্রেরণের নির্দেশ দেন। পরে তাকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা
হয়। নগরীর ছাতিপট্টি এলাকার লুতু ভূইয়া জুয়েলার্স এবং ঝাউতলা এলাকার হোটেল
এলিট প্যালেসের স্বত্ত্বাধিকারী আবু তাহের এই মামলার এজাহারনামীয় আসামি।
ব্যবসায়ী আবু তাহেরকে কারাগারে প্রেরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার আদালত পরিদর্শক (কোর্ট ইন্সপেক্টর) সাদেকুর রহমান সোহেল।
জানা
গেছে, গত ১৮ জুলাই বিকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা কোটবাড়ি বিশ্বরোড এলাকায় সাগর নামে এক
তরুণকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে গত ২৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে গোলাম
মোস্তফা নামে এক বিএনপি নেতা বাদী হয়ে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।মামলায় কুমিল্লা সদর আসনের
সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারকে প্রধান আসামি করা হয়।
মামলায়
সাবেক এমপি বাহার, ছাতিপট্টি এলাকার আবু তাহের ভূইয়া ছাড়াও, সদর দক্ষিন
উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান শাকতলা এলাকর আবদুল হাই বাবলু, মোগলটুলী ফারুকী
হাউজের সানজিদ, সদর উপজেলার রাইচরের কবির হোসেন, কামাইড়বাগ এলাকার শাহ আলম
ওরফে শুটার আলম, রেইসকোর্সের পুরাতন পাসপোর্ট গলির সুমন ওরফে ল্যাংড়া সুমন,
ঢুলিপাড়ার কামরুল হাসান লিটন ওরফে বোমা লিটন, শ্রিমন্তপুরের দুলাল হোসেন
অপ, পশ্চিম রেইসকোর্সের শাহআলম, ঠাকুরপাড়া আলিফ টাওয়ারের সালেহ আহমেদ
রাসেলসহ ৬৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায়
অভিযোগ করা হয়েছে, গত ১৮ জুলাই বিকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন
চলাকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা কোটবাড়ি বিশ্বরোডের পূর্ব পাশে
কুমিল্লা শহরমুখী সড়কে বিক্ষোভ মিছিল চলছিল। সেখানে অন্যান্য ছাত্র-জনতার
মতো সাগরও যোগ দেন। একপর্যায়ে প্রধান আসামির (বাহাউদ্দীন) নির্দেশে মামলার
অন্য আসামিরা হত্যার উদ্দেশে আগ্নেয়াস্ত্র ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে
হামলা চালায়। এতে গুলিতে সাগরের বাঁ চোখে, মুখে ও মাথার বিভিন্ন অংশে
গুলিবিদ্ধ হয়। আহত ওই তরুণ দেবিদ্বার উপজেলার জাফরাবাদ গ্রামের আবদুল
মমিনের ছেলে।