কুমিল্লার
চান্দিনায় চালককে অচেতন করে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
সিএনজি অটোরিক্সায় জিপিএস ট্র্যাকার থাকায় মাত্র ১২ ঘন্টার মধ্যে জেলার সদর
দক্ষিণ থেকে চক্রের তিন সদস্যসহ অটোরিক্সাটি আটক করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার
(৯ জানুয়ারী) দুপুর ২টায় চান্দিনা উপজেলার বাড়েরা সড়ক থেকে সিএনজি
অটোরিক্সাটি ছিনতাই করে এবং রাত ২টায় সদর দক্ষিণ উপজেলার পদ্মার দীঘির পাড়
থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সিএনজি অটোরিক্সার চালক মো. সাঈদ এর পিতা মো.
বাসার হোসেন (৪৫) বাদী হয়ে চান্দিনা থানায় মামলা দায়ের করেন।
আটককৃতরা
হলো- জেলার বুড়িচং উপজেলার ডুবাইরচর গ্রামের মো. হারুন এর ছেলে মোহাম্মদ
হোসেন (২৩), একই উপজেলার শিকারপুর গ্রামের সুজাত আলীর ছেলে মো. গোলাম
রাব্বী প্রকাশ জাবির (২৪) ও সদর দক্ষিণ উপজেলার নোয়াগ্রাম এলাকার মৃত
আব্দুল কাদের এর ছেলে মো. হাবিবুর রহমান (২৪)।
মামলার এজাহার ও পুলিশ
সূত্রে জানা যায়, চান্দিনা উপজেলার বাড়েরা ইউনিয়নের গণিপুর গ্রামের সিএনজি
চালক সাঈদ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় যাত্রীর অপেক্ষায় মহিচাইল সিএনজি
স্ট্যান্ডে অবস্থান করছিল। এসময় এক নারীসহ একজন পুরুষ যাত্রী চান্দিনা
বাজারে আসার কথা বলে রিজার্ভ ভাড়া করে সিএনজি অটোরিক্সায় উঠেন। পথিমধ্যে
তাদের আরও ৩জন যাত্রী ওই সিএনজিতে উঠেন। যাত্রীবেশের ছিনতাইকারীরা চালককে
অজ্ঞান করে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে
সিএনজি অটোরিক্সা চালক সাঈদ এর পিতা চান্দিনা থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত
করে। পুলিশ সিএনজি অটোরিক্সায় জিপিএস ডিভাইস অনুস্মরণ করে স্থানীয়দের
সহযোগিতায় রাত পৌঁনে ২টায় সদর দক্ষিণ থেকে উদ্ধার করে।
চান্দিনা থানার
পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন- তারা
অন্ত:জেলা চোর ও ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। আমরা তিনজকে আটক করলেও চক্রের
মূল হোতা এখনও আটক করতে পারিনি। তাকে সহ অন্য সদস্যদের আটক করার চেষ্টা
চলছে। আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদেরকে রিমান্ডে
আনার পর আরও তথ্য বেরিয়ে আসবে। থানা এলাকা জুড়ে চুরি, ছানতাই সহ নানা অপরাধ
কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে চান্দিনা থানা পুলিশ সক্রিয় আছে।