বাঁধ
দিয়ে পদ্মা নদীর প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৩০
সালে কাজী নজরুল ইসলাম রচনা করেছিলেন নাটক ‘সেতুবন্ধ’। আর সেই নাটকটি
মঞ্চায়ন করল বাঁশরী রেপার্টরি থিয়েটার। গতকাল সন্ধ্যায় কুমিল্লা শিল্পকলা
একাডেমির মিলনায়তনে মঞ্চায়ন হয় নাটকটি। জাতীয় কবি রচিত নাটকটির নির্দেশনায়
ছিলেন গোলাম সরোয়ার।
স্বর্গের দেবী পদ্মা জানতে পারেন স্বচ্ছ জলরাশি
নিয়ে প্রবাহিত পদ্মা নদীতে যন্ত্রদানবকুল বাঁধ নির্মাণের সব প্রস্তুতি
সম্পন্ন করেছে। পদ্মা দেবী এই অপমান সইবেন না। পদ্মার গতিবেগ রুখে দিয়ে
জলাশয়কে নষ্ট করে দেওয়া দানবকুলের অভিলাষকে রুখে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে
মেঘরাজ পবন ও অন্যান্য দেবতার সহায়তা প্রত্যাশা করেন তিনি। মেঘরাজ, পবন,
ঝঞ্ঝা, তরঙ্গ সেনাদল নিয়ে পদ্মা দেবীর সহায়তায় এগিয়ে আসেন মেঘদেবী।
শুরু
হয় তুমুল লড়াই। লড়াইয়ে বিধ্বস্ত হয়ে যায় দানবকুলের ষড়যন্ত্র, স্বর্গরাজ্য
প্রবেশের সব প্রচেষ্টা হয়ে যায় ব্যর্থ। তবুও মৃত্যু-কাতর কণ্ঠে যন্ত্রদানব
উচ্চারণ করে আমার মৃত্যু নেই দেবী, আমি আবার নতুন দেহ নিয়ে ফিরে আসব। পদ্মা
দেবীও জবাব দেন, জানি যন্ত্ররাজ, তুমি বারবার আসবে কিন্তু প্রতিবারেই
তোমার এভাবে মৃত্যুদ নিয়ে ফিরে যেতে হবে।
এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকটির কাহিনি।
বিভিন্ন
চরিত্রে অভিনয় করেছেন শারমিন সঞ্চিতা খানম পিয়া, সুরভী রায়, চন্দ্রিমা
দেয়া, জান্নাতুল ফেরদৌস হ্যাপী, হাসিনা আক্তার নিপা, মেহরান সানজানা,
মোনালিসা মোনা, জয়িতা মহলানবীশ, শিবলী সাদিক, নাজমুল হক বাবু প্রমুখ।
অতিথি
হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র
বিভাগের পরিচালক ফয়েজ জহির, জনান্তিক নাট্যগোষ্ঠীর সভাপতি বশীর উল আনোয়ার,
অধুনা থিয়েটারের সভাপতি শহিদুল হক স্বপন। ধন্যবাদজ্ঞাপন করেন কুমিল্লা জেলা
কালচারাল অফিসার সৈয়দ আয়াজ মাবুদ।