ঈদ
যাত্রা নির্বিঘ্ন ও যানজট মুক্ত রাখতে মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কে পুলিশের
পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করছেন ৩৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্যাটগণ। ঢাকা-
চট্টগ্রাম মাহাসড়ক, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক ও কুমিল্লা-নোয়াখালী মহাসড়কে
পৃথকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন তারা। দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক পরিদর্শন
করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. রহমান ও পুলিশ সুপার আবদুল
মান্নান।
শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়ক, কুমিল্লা- সিলেট ও
কুমিল্লা-নোয়াখালী মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক ছিলো। বেলা ১১ টায়
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনার বেলাশ্বর নামক স্থানের সরল
অবরোধ করে বেতন বোনাসের দাবিতে আন্দোলন করে একটি গার্মেন্টসের শ্রমিকরা।
এতে অবরোধের জায়গা থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম উভয়মুখী অন্তত ১০ কিলোমিটার
যানজটের সৃষ্টি হয়। দেড় ঘন্টা পর প্রশাসনের সহযোগিতায় শ্রমিকরা অবরোধ তুলে
নিলেও বিকেল চারটা পর্যন্ত এর রেশ থেকে যায় মহাসড়কে।
জেলা প্রশাসক
খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান বলেন, মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে আমরা সর্বাত্মক
কাজ করছি। ঈদের আগে যানজট আর ঈদের পরে অতিরিক্ত গতি রোধে আমরা পর্যবেক্ষণ
করবো।
পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বলেন, মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে আমরা
সচেষ্ট আছি। যাত্রায় কেউ যেন ছিনতাই ডাকাতের কবলে না পড়ে সেজন্য নিবিড়
পর্যবেক্ষণে রয়েছে মহাসড়কগুলো। আগামী দুই তিন দিন মহাসড়কে যানবাহনের কিছুটা
চাপ থাকবে- হাইওয়ে পুলিশ জেলা পুলিশ মিলে আমরা সেটি মোকাবেলা করতে পারবো।
জানা
গেছে, ঈদ যাত্রার অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে বাজার এলাকা ও টোল প্লাজা
গুলোতে জটলা তৈরী করছে যানবাহন। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত মহাসড়কের ৩০
পয়েন্টে যানজটের আশংকা রয়েছে। পূর্বাঞ্চল হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো
হয়েছে, ঢাকা থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ পর্যন্ত নির্বিঘœ ঈদ যাত্রা নিশ্চিত
অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঈদ
উপলক্ষ্যে হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিয়নে ৪৪ টি মোবাইল টীম, ৩৪ টি পিকেট টীম,
ঢাকা চট্টগ্রামের মহাসড়কের ২২ থানায় ২২ টি কুইক রেসপন্স টিম, ইন্টেলিজেন্স
টিম রয়েছে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য, সরকারি এবং বেসরকারি রেকার মোতায়েন করা
হয়েছে।