কুমিল্লা
বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) উপাচার্য বিরোধী আন্দোলন প্রকট হচ্ছে। শিক্ষক
সমিতি তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তাঁদের অভিযোগ অনেক। বিশেষ করে
উপাচার্য অবৈধভাবে ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান, শর্তাবলির বাইরে শিক্ষক নিয়োগ
দিয়েছেন। তোষামোদকারী শিক্ষকদের সিনিয়র আর সিনিয়র শিক্ষকদের জুনিয়র বানিয়ে
ফেলা হচ্ছে। শিক্ষকদের দাবী এতে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও বৈষম্য হয়েছে।
যদিও এমন গুরুতর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপাচার্য। তাঁর প্রশাসন বিবৃতিতে
বলেছে- ডিন, বিভাগীয় প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় আইনানুযায়ী নিয়োগ এবং
নিয়মানুযায়ী সিন্ডিকেট সভায় তা অনুমোদিত হয়েছে। মেয়াদ শেষ হওয়ায় ডিন নিয়োগ
জরুরি হয়ে পড়ে। এটাই নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। বিরুদ্ধ অভিযোগ, এতে শিক্ষক
নেতাদের কেউ কেউ বাদ পরেছেন। ব্যক্তিগত স্বার্থহানি ঘটেছে। ওই ক্ষোভ থেকেই
শিক্ষক পরিষদের ব্যানারে এসব অভিযোগ আনা হয়েছে।
দেশের
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এমন শিক্ষক রাজনীতি নতুন কিছু নয়। সব বিশ্ববিদ্যালয়েই
এমন অভিযোগ হরহামেশাই শোনা যায়। এসব নিয়েই শিক্ষক রাজনীতি রীতিমত চাঙ্গা।
কখনো
কখনো আন্দোলন, পাল্টা আন্দোলন। যদিও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও
উপাচার্যের পক্ষের শিক্ষকরা মাঠে নামেন নি। তবে কর্মকর্তারা ওয়ার্মআপ
করেছে। এমনটা কিন্তু অস্বস্তিকর। শিক্ষকদের চলমান সাত দফা দাবির একটি ওই
কর্মকর্তাদের ঘটনা। বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন দলাদলি শোভন নয়।
এদিকে আন্দোলন
দিন দিনই কঠোর হচ্ছে। সোমবার শিক্ষক সমিতি মানববন্ধন করেছে। এদিকে শিক্ষক
সমিতির ডাকে ক্লাস বর্জন চলছে। শিক্ষকরা সাত দফা দিয়েছেন। সমিতি ৬ মার্চ
ভুন্ডুল করে দিয়েছে শিক্ষক নিয়োগ লিখিত পরীক্ষা। মানববন্ধন থেকে আজ
বৃহস্পতিবার -২৮ মার্চের আলটিমেটাম এসেছে , এরমধ্যেই দাবী মেনে নেয়ার।
ক্লাস বর্জন বুধবার - ২৭ মার্চ পর্যন্ত চলেছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে রোজা-
ঈদ ছুটি শুরু হয়েছে। দাবী না মানা হলে- ঈদের পর ক্লাস, পরীক্ষা চালু রেখেই
পরবর্তী কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়ার কথা বলেছে শিক্ষক পরিষদ। একই সাথে
শিক্ষকরা হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেছেন, আমরা হয়তো ক্লাস নিব, কিন্তু আপনি
শান্তিতে দপ্তরে, বাংলোয় থাকতে পারবেন না। এরিমধ্যে শিক্ষক নেতারা -
উপাচার্য উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষক নেতা
উপাচার্যকে সবার সামনে ডাস্টবিন কটাক্ষ করে পদত্যাগ করতে বলেন। রেষারেষিটা
চরমেই যাচ্ছে। যা অতীতের মতো উপাচার্য পতনের আন্দোলনের দিকেই এগুচ্ছে।
শিক্ষকদের
আরও দাবী, দুই বছর আগে শিক্ষকরা গ্রেড-১ এর জন্য আবেদন করলেও পদোন্নতি
এখনও ঝুলে আছে। প্রশাসনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিনের এ জটিলতা নিরসনে
একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে, তাঁরা কাজ করছেন।
গত বছর
শিক্ষক সমিতি গঠন করা যায় নি, বঙ্গবন্ধু পরিষদের শিক্ষকদের দু'পক্ষের
মতবিরোধে। অভিযোগ এর পেছনে উপাচার্যের ইন্ধন ছিল। এখন পক্ষতা মিটে গেছে।
এবার নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শিক্ষক সমিতি গঠিত হয়েছে। ১৯ ফেব্রুয়ারী পাশ করে
উপাচার্যের সাথে দেখা করতে গিয়ে শিক্ষকরা উশৃংখল কর্মকর্তাদের দ্বারা
হামলা- অপমান, লাঞ্ছিত হয়েছেন। এনিয়ে কর্মকর্তা, শিক্ষক দু'পক্ষই থানায়
সাধারণ ডায়েরি করেছেন। উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি)
একজন প্রতিনিধিসহ তদন্ত কমিটি করেছেন। এমন ঘটনা ন্যাক্কারজনক। এখান থেকেই
ঘটনার সূত্রপাত।
এরিমধ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে অনিয়ম- স্বেচ্ছাচারিতার
অভিযোগ তুলে চার আবাসিক শিক্ষক পদত্যাগও করেছেন। ডিন নিয়োগসহ সিন্ডিকেট
সভায় মতামত প্রদানের সুযোগ সীমিত করার প্রতিবাদে এক সিন্ডিকেট সদস্য
শিক্ষকও পদত্যাগ করেছেন। এসব কিছুও উপাচার্যকে তাঁর সিদ্ধান্ত থেকে টলাতে
পারে নি। উল্টো তাঁকে এক্ষেত্রে বেশ দৃঢ় চেতাই মনে হচ্ছে।
এটা ঠিক এ
উপাচার্যের সময়েই গবেষণা ও প্রকাশনার মান বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এতে শিক্ষক গবেষকের সংখ্যা গত দু'বছরে ১৮
গুণ বেড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং বেড়েছে। একাডেমিক প্ল্যান প্রবর্তন
করায় গত দু' বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন সেশনজট হয় নি। তাঁর আরও উল্লেখযোগ্য
কাজের মধ্যে রয়েছে শিক্ষকদের জন্য মর্যাদাসম্পন্ন ভাইস চ্যান্সেলর
অ্যাওয়ার্ড প্রবর্তন, শিক্ষকদের প্রকাশনা ও বিদেশে উচ্চ শিক্ষা উৎসাহিত
করতে বিভিন্ন নিবন্ধন ফি প্রদান, গবেষণার মান বৃদ্ধিতে নানামুখী পদক্ষেপ
গ্রহণ, মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি চালু, খেলায়
উদ্বুদ্ধকরণে বৃত্তি, স্বাস্থ্যকর নান্দনিক ও নিরাপদ ক্যাম্পাস, প্রশাসনসহ
সবক্ষেত্রে অটোমেশন, কর্মচারীদের দক্ষতায় প্রশিক্ষণ- এগুলো বড় অর্জন।
উপাচার্যের
দাবি তাঁর প্রশাসনে গত দু' বছরে সুশাসনকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এটা
আরেকটা বড় অর্জন। সরকারি কেনাকাটায় দুর্নীতিকে কঠোরতায় দমিয়ে রাখা হয়েছে।
নিয়োগ ও টেন্ডার বানিজ্য বন্ধ করার সব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এতে কিছু
দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, শিক্ষক ও তাঁদের রাজনৈতিক গুরুরা নাখোশ হয়েছেন,
বিশেষ করে ই-টেন্ডার বাস্তবায়ন হওয়ায়। তাঁরাও এ সুযোগে আগুনে ঘি ঢালছেন এমন
অভিযোগও আছে।
বিশেষ করে স্বীকৃত জার্ণালে গবেষণা- লেখা ছাপানো ও
পদোন্নতির বিষয় নিয়ে নানা পরস্পর বিরোধী অভিযোগ রয়েছে। স্বীকৃত জার্ণাল
বলতে সংগা নির্ধারণ না থাকায় কোন কোন শিক্ষক নিজেদের মতো করে সুবিধা নিতে
চাচ্ছেন এমন অভিযোগও আছে। এতে মান রক্ষা করা যাচ্ছে না। ভাল পড়াতে হলে পড়তে
হয়- এদাবী উপেক্ষিত থেকেই যাচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে এ নিয়েও কোন কোন শিক্ষক
ক্ষেপেছেন। বিপরীতে পছন্দের শিক্ষককে পদোন্নতি দেওয়ারও অভিযোগ আছে।
শিক্ষকদের গবেষণাপত্র নিয়ে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নানা
তেলেসমাতি কারবার আছে, গণমাধ্যমে এমন সংবাদ বহুবার এসেছে। তবে কুমিল্লা
বিশ্ববিদ্যালয়ে এপর্যন্ত গবেষণায় অনাগ্রহের কথাই জানা গেছে। সাথে নামমাত্র
কাজটি শেষ করার প্রবণতাও রয়েছে। এসবের কড়াকড়ি তাই মেনে না নেওয়ার অভিযোগও
রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শুধু পাঠদানের ক্ষেত্র নয়, গবেষণারও ক্ষেত্র।
পরিষদের
এক শিক্ষক নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি বিদেশে দেড় বছরের দ্বিতীয়
মাস্টার্সের জন্যে প্রথমে দুই বছর স্বাভাবিক ছুটি ভোগ করেন। এরপর বিনা
বেতনে এক বছর, সবশেষ আরও ১০ মাস ২৬ দিন অসাধারণ ছুটি কাটান। পরবর্তীতে আরও
ছুটি চাইলে সিন্ডিকেট তা অনুমোদন দেয় নি। ওই শিক্ষক অবশ্য এজন্যে
করোনাকালকে দায়ী করেছেন। এখবর গণমাধ্যমেও এসেছে। এনিয়ে ওই শিক্ষক নেতার
উপাচার্যের সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। বর্তমান সংকটের এটাও একটা বড় কারণ।
বর্তমানে উচ্চতর ডিগ্রি করার পরও বিদেশে অবস্থান করছেন নয়জন শিক্ষক। এই
পদগুলো শূণ্য ঘোষণা করে শিক্ষক সংকট কাটানো প্রয়োজন। এসব সমাধানে অভিন্ন
নতুন শিক্ষা ছুটি নীতিমালা প্রণয়নে কমিটি হয়েছে। এসবই ইতিবাচক দিক
নিঃসন্দেহে।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের সময় উপাচার্য ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ে চুক্তি ভিত্তিক ছিলেন। নিয়োগের কোথাও এটা লেখা হয় নি।
সুযোগে নিয়মিত শিক্ষকের মতো তিনি দু'টি ইনক্রিমেন্ট নিয়েছেন। শিক্ষক সমিতি
বলছে তিনি তথ্য গোপন করে অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারির করেছেন, যা অনৈতিক। তাঁকে
ওই অতিরিক্ত অর্থ ফেরত দিতে হবে। এমন আচরণ উপাচার্যের পদকে প্রশ্নবিদ্ধ
করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পৃথক বিবৃতিতে বলেছে, প্রয়োজনে উপাচার্য
অতিরিক্ত অর্থ ফেরত দেবেন। অভিযোগটি গুরুতর। বিরুদ্ধ অভিযোগ, শিক্ষক সমিতির
শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধেও নানা সময়ে অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারির নানা অভিযোগ
রয়েছে।
একই সাথে উপাচার্যের ঢাকায় গেস্ট হাউজ দখলেরও অভিযোগ আছে। তবে
প্রশাসনের বিবৃতিতে তা অতীতের মতো ভাড়ায় শিক্ষক- কর্মকর্তারা গেস্ট হাউজ
ব্যবহার করতে পারবেন বলেও জানান হয়েছে।
২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত কুমিল্লা
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ম উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ আ ফ ম আবদুল মঈন। ৪ বছর মেয়াদে
তিনি ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারী নিয়োগ পান। এরিমধ্যে দুই বছরের সামান্য বেশি
সময় তিনি নির্বিঘেœ পাড় করেছেন। শেষের দু'বছর তাঁকে ঝড়-ঝঞ্ঝায় কাটাতে হবে
এমনটাই মনে করছেন অন্যান্য শিক্ষক-কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা। মেয়াদের শেষ
সময় অতীতের উপাচার্যরাও ভাল ভাবে বিদায় নিতে পারেন নি। শিক্ষক সমিতির সাথে
বিরোধ,উপাচার্য পতনের এক দফা- চাপাচাপি, মুখোমুখি, মারমুখী, তালা মারা,
ঘেরাও, সভা ভন্ডুল, অচল করে দেওয়া- এমন পরিস্থিতিতেই সবাই যার যার মতো
মেয়াদ শেষ করেছেন। এটা কুবির রীতিতে পরিণত হয়েছে । কিছুটা ব্যতিক্রম ছিল
প্রফেসর ডঃ ইমরান কবীরের সময়কাল। অবশ্য শেষের দিকে তিনিও আন্দোলনের মুখে
পড়েন। তাঁর সময়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠে। তাঁকে শক্তিমান
উপাচার্য বলা হতো। তিনিও হাসিমুখে বিদায় নিতে পারেন নি। শিক্ষক নেতাদের এমন
একচ্ছত্র ক্ষমতার উৎস কি। কারণ একটাই কুবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ। এটা
ভালো দিক। তবে এর কারণে ছাত্ররা স্বতন্ত্র অবস্থান নিতে পারে না। বাধ্য হয়ে
শিক্ষকদের পক্ষেই থাকতে হয়। কুবিতে তাই ছাত্র আন্দোলনের চাইতেও শক্তিশালী
শিক্ষক রাজনীতি। তবে নৈতিকতার ঝান্ডা সবসময়ই ছাত্ররাই এগিয়ে নিয়েছে। ২০১৭
সালে উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ আলী আশরাফের সময়ে সিন্ডিকেট সভায় ইউজিসির
চেয়ারম্যান প্রফেসর ডঃ আবদুল মান্নানকে বাঁধা দেওয়া ও তাঁর সাথে অসৌজন্য
আচরণের অভিযোগ উঠে এই শিক্ষক সমিতির নেতাদের বিরুদ্ধে। তাঁদের শো'কজও করে
ইউজিসি। এ ঘটনাকে কুবির কলংক বলা হয়।
এতোকিছুর পরও এখনও আদর্শ মানুষ মনে
করা হয় শিক্ষকদেরই। তাঁরা জাতি গঠনে ভূমিকা রাখেন। বিশেষ করে
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তাঁরাও ব্যক্তিস্বার্থের উর্ধে নয়। শুধু নৈতিকতা
দিয়ে নয় পেশাদারীত্ব দিয়েই তাঁদের নিয়মতান্ত্রিক হতে হয়। নতুন
বিশ্ববিদ্যালয় নিয়মের মধ্যে আনা কিছুটা কষ্টকর। তখনই স্বার্থের বিরোধ কখনও
কখনও প্রকট হয়। দলাদলি লড়াইয়ে রূপ নেয়। যদিও এমনটা কাম্য নয়। এরিমধ্যে
অবশ্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় অনেক ক্ষেত্রেই অনেক এগিয়েছে। সুনাম,খ্যাতি
ছড়িয়েছে।
এদিকে এতোসবের পরও শিক্ষক নেতারা বরাবরই আলোচনা দাবী করে
আসছেন। বিপরীতে উপাচার্য দাবীর ন্যায্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর মতে
নিজেকে ব্যক্তিগত ক্ষতিগ্রস্ত কিংবা সুবিধা পান নি এমন বিষয় নিয়েতো সংলাপ
হয় না। যদিও প্রশাসনের বিবৃতিতে গঠনমূলক আলোচনাই সমস্যা সমাধানের পথ বলা
হয়েছে। একই সাথে আলোচনা সংশ্লিষ্ট পক্ষের মধ্যেই হওয়া বাঞ্চনীয়, এটাই
পেশাদার আচরণ। সমস্যা সমাধানের পথ আলোচনার পথেই খুঁজতে হয়। পারস্পরিক
সৌহার্দ্য ও শ্রদ্ধাবোধ এই পথকে সুগম করবে নিঃসন্দেহে। কুমিল্লা
বিশ্ববিদ্যালয় কুমিল্লাবাসীর গর্বের জায়গা, আশা- আকাক্সক্ষার কেন্দ্রস্থল।
লেখকঃ সাংবাদিক।