রোববার ২৯ জুন ২০২৫
১৫ আষাঢ় ১৪৩২
সংস্কার প্রস্তাব ও সুপারিশ যেন উপেক্ষিত না হয়
ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ
প্রকাশ: রোববার, ২৯ জুন, ২০২৫, ১:২৪ এএম |


 সংস্কার প্রস্তাব ও সুপারিশ যেন উপেক্ষিত না হয় জনপ্রশাসনকে এখন আর শুধু প্রশাসনিক কাজে নিবেদিত ও নিষ্ঠাবান হিসেবে দেখার সুযোগ নেই। কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র মুখ্যত প্রশাসন ও অর্থব্যবস্থাপনার মিশেল, পারস্পরিক ও মিথস্ক্রিয়ার ব্যাপার তার বিভিন্ন ডিসকোর্সে ফুটে ওঠে। সম্রাট অশোক বলি আর মুহম্মদ বিন তুঘলক, শেরশাহ কিংবা মোগল সাম্রাজ্যে আবুল ফজলের বিদ্যা বাচস্পতিত্বে অর্থ ও প্রশাসনের সম্পর্ক অঙ্গাঙ্গি ছিল বলে তাদের সময়কার প্রশাসনিক সাফল্যের চাইতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিষয়-আশয় প্রাধান্য পেয়েছে ইতিহাসের পাতায়। ১৭ জন অশ্বারোহীর আচমকা উপস্থিতিতে লক্ষণ সেন পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন। তার প্রাসাদ অভ্যন্তরে ছিল প্রচণ্ড দুর্নীতি ও দুর্বলতা। তুঘলকের যেসব কর্মকাণ্ড তার এবং তার প্রশাসনের  ভরাডুবি ঘটিয়েছিল তা তো তার অতি উৎসাহী পাগলামীর উন্নয়ন উদ্দেশ্যে রাজধানী দিল্লি থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম ভারতের দূরপ্রান্তে স্থানান্তরের বিকেন্দ্রীকরণ ভূমিকার কারণে।
ভারতে ব্রিটিশ প্রশাসন অর্থনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারে ব্যতিব্যস্ত থাকলেও তারা আইনশৃঙ্খলা, বিচারব্যবস্থা ও জনকল্যাণ বা  নাগরিক কল্যাণ কর্মকাণ্ডকে যতদূর সম্ভব পৃথকভাবে পরিপুষ্ট করতে পেরেছিল বলেই তারা ১৯০ বছর এ দেশে একটানা শাসন ও শোষণ চালাতে পেরেছিল। তারা আর যাই করুক একদলীয় শাসন, একদেশদর্শী প্রশাসনব্যবস্থা গড়ে উঠতে দেয়নি। জালিয়ানওয়ালাবাগে জেনারেল ডায়ার নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল কিন্তু তাকেও বিচারের সম্মুখীন করতে কসুর করেনি তদানীন্তন সরকার। 
পাকিস্তানের সংসার থেকে বেরিয়ে আসতে বাংলাদেশকে অনেক রক্ত দিতে হয়েছিল। সে তো পশ্চিম পাকিস্তানিদের অর্থনৈতিক শোষণ, বঞ্চনা, বৈষম্য সৃষ্টির কাফফারার কারণে। অর্থাৎ যখন অর্থনীতি ও প্রশাসন বড্ড কাছাকাছি চলে এসেছে, ভেদবুদ্ধির কারণে দুর্নীতি যখন দুঃশাসনের প্রতিভু হয়েছে তখন। সিঙ্গাপুরকে তিন তালাক দিয়ে মালয়েশিয়া পৃথক হতে পেরেছিল টেংকু আবদুর রহমান এবং লি কুয়াং-এর দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে, এক ফোঁটা রক্ত না ঝরিয়েই। কারণ তারা অর্থনীতিকে প্রধান্য দিলেও প্রতিরক্ষা ও প্রশাসনকে তাদের সঙ্গে গলাগলি করতে দেয়নি। 
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডেপুটি কমিশনার কিংবা ডিস্ট্রিক কালেক্টরকে বাংলায় জেলা প্রশাসক বলা সাব্যস্ত হয় যখন থেকে, তখন থেকে বোঝা গেল ‘ডাল মে কুচ কালা হ্যায়’, অর্থাৎ জেলা প্রশাসক তার প্রশাসনিক ক্ষমতা ও গাম্ভীর্য বৃদ্ধির জন্য অন্য সব দপ্তরের ওপর দাপট দেখানোর পথ নিলেন এ সুবাদে যে, তাহলে জেলার উন্নয়নে তিনিই নেতৃত্ব দেবেন, তিনিই অধিকারী এবং এ সুবাদে তিনি উচ্চপর্যায়ের কর্তাব্যক্তিদের সরাসরি দৃষ্টিতে আসতে পারেন এবং পরস্পর স্বার্থ ভাগাভাগিতে কিংবা গদিনশিন রাখতে সাহায্য-সহযোগিতায় আসতে পারেন। পরবর্তীকালে সামরিক ও বেসামরিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও নিজেদের ‘ক্ষমতা’ দেখানোর পথ নেয়।  
১৯৯৬ সালে জনতার মঞ্চ গঠন, যেখানে কর্মরত সিভিল সার্ভিসদের সশরীরে ও ভাবগতভাবে উপস্থিতির মাধ্যমে সিভিল সার্ভিসের তথ্য জনপ্রশাসনের ‘ঘরের বাহির’ হওয়ার সংস্কৃতির উদ্ভব ঘটে।
এখান থেকে প্রশাসন দলীয়করণের খপ্পরে পড়া শুরু হয়। শুরু হয় একেক সরকারের আমলে হিরো ও জিরোকরণ প্রক্রিয়া। ১৯৯৬-২০০৬ সাল পর্যন্ত সময়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগপন্থি হওয়ার প্রতিযোগিতা ও পরস্পরের অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ২০০১-২০০৬ সালে  বিরোধীপক্ষের কর্মকর্তাদের ওএসডি ও বাধ্যতামূলক অপসারণ, অবসর দেওয়ার পরিমাণ আকার ও ব্যাপ্তিতে শত সহস্র গুণ বেড়ে যায়। ২০০৯-২০২৪ সালে একটানা ১৫ বছর এক সরকার ক্ষমতায় থাকায় এ সময় প্রায় ১৪০০ উচ্চমধ্য পর্যায়ের কর্মকর্তাকে বিপক্ষীয় ট্যাগ লাগিয়ে ওএসডি করা হয়। এদের বসিয়ে বসিয়ে বেতন দেওয়া হয় এবং ১০-১১ বছর চাকরিকাল শেষ করে তারা অবসরে যান। এ সময়ে প্রায় ২৫ শতাংশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতিবঞ্চিত রাখা হয়।
জনপ্রশাসনে মেধাশূন্য করার ক্ষেত্রে সুকৌশলে প্রণীত এ প্রথা সম্ভবত ইতিহাসে বিরল। ওএসডি, বাধ্যতামূলক অবসর ও পদোন্নতিবঞ্চিত করে দলীয় অফিসারদের মুহুর্মুহ পদোন্নতি পুনর্বাসন করা হয়। স্থলাভিসিক্তকরণসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সব ঊর্ধ্বতন পদগুলোর স্ট্রেংথ ৪-৫ গুণ বাড়িয়ে পদোন্নতির পথ সুগম করা হয়। কিন্তু কাজের পরিধি একই থাকায় অধিকাংশ অফিসারকে ইনসিটো করা হয়। উপসচিবের ডেস্কে যুগ্ম সচিব এমনকি অতিরিক্ত সচিবকে বসে কাজ করতে হয়। কাজের মান না বাড়লেও তাদের শুদ্ধাচার ও সুশাসন পদক দিয়ে হালাল করা হয়। 
মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর কাজ ও দায়িত্ব রুলস অব বিজনেসে লেখা থাকা সত্ত্বেও প্রতি বছর সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মন্ত্রণালয়/ বিভাগগুলোর মধ্যে কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। সচিব, বিভাগীয় কমিশনারদের সেরা কর্মসম্পাদনকারী হিসেবে পদক ও সনদ প্রদান করা হয়। অনুগত ও বশংবদ পুলিশ বাহিনীর কর্মকর্তাদের পুলিশ পদক বিতরণের হিড়িক পড়ে। সরকারের দুর্নীতি দমন সহায়তাকারী মন্ত্রণালয়-প্রধানদের প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বিদেশি ভালো/ লোভনীয় পদে এমনকি তাদের সংসদে ঠাঁই দিয়ে মন্ত্রীর মর্যাদায় আনার লোভ বিতরণ করা হয়। ট্যাগ লাগিয়ে অফিসারদের ওএসডি করে কর্মরতদের সামনে অযৌক্তিকভাবে হলেও সরকারের আনুগত্য প্রকাশে বাধ্য করা হয়। জনপ্রশাসনের মধ্যে আনুগত্য প্রদর্শন, অন্ধ অনুসরণ ও তোষামোদি-মোসাহেবির এক অদ্ভুদ অভিনব এবং অদম্য সংস্কৃতি শুরু বা চালু হয়। যা জনপ্রশাসনের ভাব-গাম্ভীর্য, নিরপেক্ষতা ও নিষ্ঠাকে নানান প্রশ্নের সম্মুখীন করে। খোদ জনপ্রশাসনে বিভেদ, বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব নিরাপত্তা বাহিনীর, ব্যাংক বা আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা বিধানের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকের, পুঁজিবাজারের দায়িত্ব যেমন পুঁজিবাজার কমিশনে, দুর্নীতির জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন, রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। প্রজাতন্ত্রের হিসাব ও নিরীক্ষা, লোকবল নিয়োগ, নির্বাচন পরিচালনা এবং বিচারব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের জন্য রয়েছে চারটি সাংবিধানিক সংস্থা। এসবই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে অবশ্যই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত হতে হয়, কেননা সরকার এবং রাষ্ট্র এক নয়। 
রাষ্ট্র স্থায়ী ও অবিভাজ্য, পক্ষান্তরে সরকারের দায়িত্ব রাষ্ট্র পরিচালনা করা, রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব, অধিকার, দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধকে অধিগ্রহণ করে নয়; অর্থাৎ সরকার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে খবরদারি বা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা রাখে না। বরং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানই সরকারকে নিয়ন্ত্রণে রাখবে এটা স্বতঃসিদ্ধ প্রথা। এর ব্যতিক্রম ঘটলে সরকার ও রাষ্ট্র উভয়ই প্রশ্নবিদ্ধ হয় এবং একে অপরের জন্য হুমকিস্বরূপ ও অকার্যকর হয়ে পড়ে। রাষ্ট্র এবং সরকার অবশ্যই পরস্পরের পরিপূরক, তবে তারা পরস্পরের মধ্যে দ্রবীভূত হতে পারবে না।
রাষ্ট্রীয় সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান তাদের দায়িত্ব পালন করবে দল-মত, সরকারনির্বিশেষে, অবশ্যই রাষ্ট্রীয় সত্তা হিসেবে সরকারের পক্ষ হয়ে নয়। নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তার দায়িত্ব পালন করবে সে নিরিখেই। সুতরাং স্থানীয় নিরাপত্তা চৌকি যখন দেখবে তার এলাকায় রাষ্ট্রের নাগরিক (যাদের রয়েছে নিরাপত্তা লাভের মৌলিক অধিকার) নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন, সে ক্ষেত্রে তারা দায়িত্ব পালনে সক্রিয় থাকবে। কোনো এলাকায় কেউ খুন হলে রাষ্ট্রের পক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাদী হয়ে ব্যবস্থা নেবে। সেখানে আসামি, সরকার, সরকারি দল, বিরোধী দল, কোনো দলমত, চিন্তা-চেতনা ও আদর্শের পক্ষ-বিপক্ষের সবাই সমান আচরণ পাবে। সরকারের ইচ্ছা অনুসারে, রাগ বা অনুরাগের বশবর্তী হয়ে সরকারি লোক বা সরকারের পক্ষালম্বন এবং বিরোধীপক্ষের বিপরীতে অবস্থান গ্রহণ তার দায়িত্ব ও কর্তব্য নয়। সরকার যেহেতু দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে গঠিত ও পরিচালিত হয়। 
পুলিশ যদি নিজের পরিচয় ভুলে সরকারি মনোভাব বা মতাদর্শের লেবাস পরে কথা বলে তাহলে সে তার রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে বরখেলাপ করছে বলে আইনত দায়ী হবে। কেননা, তার মানতে হবে সরকার আসবে যাবে কিন্তু রাষ্ট্র স্থায়ী এবং রাষ্ট্রের কর্মচারী হলে সে স্থায়ী এবং সরকারনির্বিশেষে সে তার নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখবে। এটা অনুসৃত না হলে নানান বিবাদ-বিসংবাদ, বঞ্চনা, বৈষম্যের প্রশ্ন উঠবে এবং প্রতিষ্ঠানের ভাবগাম্ভীর্য ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন হবে। প্রকারান্তরে রাষ্ট্রের নাগরিকরা নানাভাবে বঞ্চিত হবে মৌলিক অধিকার তথা নিরাপত্তার নিশ্চিত প্রাপ্তি থেকে। 
অতীতে, বিশেষ করে ১৯৯১ ও ২০০৯ সালে তদানীন্তন নির্বাচিত সরকারের কাছে পূর্ববর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে সংরচিত সংস্কার প্রস্তাব ধোপে টেকেনি। বরং লক্ষণীয় হয়ে ওঠে যে, ২০০৮ সালের শেষে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী রাজনৈতিক দল তাদের নির্বাচনি ইশতেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন বা পূরণের ব্যাপারে উপেক্ষার পথ বেছে নিয়েছিল। বরং যেসব জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ইশতেহারে উল্লেখ না করেও একতরফাভাবে বাস্তবায়নে সচেষ্ট ছিল। ২০০৯ সালের সরকার বিজনেস কাউন্সিলের সুপারিশ চেখেও দেখেনি বরং রেগুলেটরি রিফর্ম কমিশনের প্রয়াস-প্রচেষ্টা প্রতিবেদন বাতিল করে। 
এসব কারণে পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের সামনে সংস্কার প্রস্তাব ও সুপারিশগুলো উপেক্ষার সুযোগ না রাখাটাই হবে জনপ্রত্যাশার প্রতিফলন। সংস্কার প্রস্তাবগুলো জনসমক্ষে প্রকাশ করে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলকে জনগণের সামনে প্রতিশ্রুতি আদায়ে সচেতন থাকা বাঞ্ছনীয় হবে। ভাবী সরকার গঠনে ইচ্ছুক সবাইকে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ বা জবাবদিহিকরণের এটাই হবে সম্ভাব্য সর্বোত্তম উপায়। এ সময় ও সুযোগকে কেউ যেন ভিন্ন খাতে নিয়ে যেতে না পারে সেদিকে সবারই নিজ নিজ স্বার্থেই রাখতে হবে সজাগ দৃষ্টি।
লেখক: অনুচিন্তক













সর্বশেষ সংবাদ
কুমিল্লার মুরাদনগরে ধর্ষণের অভিযোগে আসামীদের গ্রেফতারের প্রেচেষ্টা অব্যাহত
কুমিল্লায় সংখ্যালঘু নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড়
ব্রাহ্মণপাড়া- মিরপুর সড়ক রাস্তা ধসে পুকুরে বিলীন হওয়ার শঙ্কা
ব্রাহ্মণপাড়ায় যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
চৌদ্দগ্রামে জাতীয় পার্টির নির্বাচনী কর্মশালা অনুষ্ঠিত
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
কুমিল্লায় সংখ্যালঘু নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড়,
১০ হাজার টাকা করে পাবেন শিক্ষার্থীরা, যেভাবে মিলবে এই টাকা
অন্যায়ভাবে নীলফামারীতে আটক কুমিল্লার শাহাজাদাসহ দুই সাংবাদিক, ন্যূনতম মামলা দেওয়ার চেষ্টা
জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে আবারও টানা ৩ দিনের ছুটি
কুমিল্লায় পাটজাতপণ্য উৎপাদনকারী কারখানা বন্ধের হিড়িক, রপ্তানীতে ধস
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২