মো. মিজানুর রহমান ।।
‘ফাজিল
স্নাতক পরীক্ষায় বই দেখে লেখার অভিযোগ ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন’
শিরোনামে আজ বুধবার দৈনিক কুমিল্লার কাগজ পত্রিকায় ও অন্যান্য গণমাধ্যমে
নানা শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর পিপুলিয়া ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা পরীক্ষা
কেন্দ্র স্থগিত ও পরবর্তী পরীক্ষা সমূহ কুমিল্লা ইসলামিয়া আলিয়া কামিল
মাদ্রাসায় স্থানান্তর করা হয়েছে। আজ ২৪ ডিসেম্বর ইসলামি আরবি
বিশ^বিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আলী স্বাক্ষরিত এক পত্রে
নকলমুক্ত ও উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় কেন্দ্র স্থগিত ও স্থানান্তরের নির্দেশ
প্রদান করেন। এবিষয়ে পত্র প্রাপ্তির বিষয়টি দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে
নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণউপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন চন্দ্র
রায়।
গত ৬ ডিসেম্বর থেকে সারাদেশের ন্যায় ইসলামি আরবি বিশ^বিদ্যালয়ের
অধীনে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার পিপুলিয়া ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা
কেন্দ্রে ফাজিল স্নাতক (অনার্স) ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ বর্ষ (নিয়মিত, অনিয়মিত,
রিটেইক, বিশেষ রিটেইক, মান-উন্নয়ন/গ্রেড উন্নয়ন) পরীক্ষা-২০২৪ চলাকালে
পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে টেবিলের উপর বই রেখে নকল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিষয়টি নিয়ে গত ২৩ ডিসেম্বর ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন কুমিল্লা
সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন চন্দ্র রায়। উপজেলা মাধ্যমিক
শিক্ষা অফিসার সৈয়দ মো. তৈয়ব হোসেনকে আহবায়ক, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো.
শামীম ইকবাল ও আইসিটি অফিসার রিয়াজ উদ্দিনকে সদস্য করে উক্ত তদন্ত কমিটি
গঠন করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কমিটিকে তদন্ত করে আগামী ৭
কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশনা প্রদান করেন।
আজ ২৪
ডিসেম্বর ইসলামি আরবি বিশ^বিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আলী
স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে নকলমুক্ত ও উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় পিপুলিয়া
ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্র স্থগিত ও পরবর্তী পরীক্ষা সমূহ
কুমিল্লা ইসলামিয়া আলিয়া কামিল মাদ্রাসায় স্থানান্তর করার নির্দেশনা প্রদান
করেছেন এবং পরীক্ষার্থীরা প্রকাশ্যে বই দেখে বা নকল করে পরীক্ষা দিচ্ছে
এমন একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে মর্মে বিভিন্ন গণমাধ্যমে
খবর প্রকাশিত হওয়ার বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদান করতে আগামী ৭ কর্মদিবসের
মধ্যে পিপুলিয়া ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল
কুদ্দুসকে নির্দেশ প্রদান করেছেন।
এবিষয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণউপজেলা
নির্বাহী অফিসার সুজন চন্দ্র রায় দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে জানান, বিষয়টি
জানার সাথে সাথে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির
রিপোর্ট পেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
