যুবদল নেতা আরিফ হত্যার
ঘটনায় রাজধানীর হাতিরঝিল থানার মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের মেয়ে
খাদিজা ইয়াসমিন বিথীকে আবারও চার দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার
(২৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেট্রেপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারা ফারজানা হক এ আদেশ দেন।
এর আগে তদন্ত কর্মকর্তা তার পাঁচ দিনের রিমান্ড চান।
গত ১৮ ডিসেম্বর এ মামলায় খাদিজা ইয়াসমিন বিথীকে পাঁচ দিনের রিমান্ড দেয় এ আদালত। প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই আরিফ রেজা এ তথ্য জানন।
গত
১৬ ডিসেম্বর খাদিজা ইয়াসমিন বিথীকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার
আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর মো. মাজহারুল
ইসলাম।
গত ১৪ ডিসেম্বর কুমিল্লা জেলা কারাগারের সামনে থেকে বিথীকে গ্রেফতার করা হয়।
আসামিপক্ষের
আইনজীবী আদালতে রিমান্ড বাতিল চেয়ে বলেন, তার কাছে রিমান্ডে কোনও তথ্য
পাওয়া যায়নি। তারপরও আবারও রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। পূনরায় রিমান্ড চাওয়ার
কোনও যুক্তি নেই। তার দুটি সন্তান আছে। আমি রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন
চাচ্ছি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শামসুদ্দোহা সুমন তার
রিমান্ডের স্বপক্ষে শুনানি করেন। আদালতে তিনি বলেন, আগামীকাল তারেক রহমান
দেশে আসছেন। সামনে আামাদের জাতীয় নির্বাচন। সুতরাং এসব বিষয় নিয়ে দেশের
নিরাপত্তা শঙ্কা আছে। তিনি সুব্রত বাইনের মতো সন্ত্রাসীর মেয়ে। এছাড়াও এ
মামলায় তার কাছ আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকতে পারে। এ জন্য তার পাঁচ দিনের
রিমান্ড চাই।
আদালতে আসামি খাদিজা ইয়াসমিন বিথী বলেন, এ মামলার কোনও
কিছুই আমি জানি না। আমার সন্তান আছে। আমার বাবা অপরাধী হতে পারেন। তার জন্য
আমি দায়ী না। আমার মেয়ে শিশু আছে। তাকে এখন প্রতিবেশীরা লালন-পালন করছে।
আমার সন্তান কার কাছে থাকবে? আমি চাকরি করি। কাজ করে খাই। আমি কোনও অন্যায়
করিনি। আমার বাবা আইনি হেফাজতে আছে। সুতরাং আমাকে কেন গ্রেফতার করে
রিমান্ডে পাঠানো হচ্ছে?
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত ১৯ এপ্রিল রাতে
রাজধানীর হাতিরঝিল থানার নয়াটোলা মোড়ল গলির ‘দি ঝিল ক্যাফে’র সামনে যুবদল
নেতা মো. আরিফ সিকদারকে গুলি করা হয়। আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ
হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ এপ্রিল তিনি মারা যান।
আরিফ সিকদার ঢাকা মহানগর উত্তরের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সহ-ক্রীড়া
সম্পাদক ছিলেন। এ ঘটনায় আরিফের বোন রিমা আক্তার বাদী হয়ে সুব্রত বাইনের
সহযোগী মাহফুজুর রহমান বিপুসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় হত্যাচেষ্টা
মামলা করেন। পরে আরিফ মারা গেলে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। এ
মামলায় সুব্রত বাইনকে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
