হ্যাটট্রিক
শিরোপা জয়ের আশায় অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ।
গ্রুপপর্বে তিন ম্যাচের সবকটিতে জিতে তারা সঠিক কক্ষপথেই ছিল। কিন্তু
সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে আর দাঁড়াতে পারেনি টাইগার যুবারা। ব্যাটিং
বিপর্যয়ে পড়ে ২৬.৩ ওভারে মাত্র ১২১ রানে গুটিয়ে যায় আজিজুল হাকিম তামিমের
দল। যা পাকিস্তানি যুবারা ৮ উইকেট এবং ৬৩ বল হাতে রেখে পেরিয়েছে।
এদিন
(শুক্রবার) বৃষ্টির বাধায় ওয়ানডে ম্যাচ নামিয়ে আনা হয় ২৭ ওভারে। যেখানে
বাংলাদেশ সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২১ রান তোলে। জবাবে খেলতে নেমে ১৭ ওভারেই ৮
উইকেটের বড় জয় নিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান। যদিও ছোট লক্ষ্য তাড়া
করতে নেমে পাকিস্তানের শুরুটা ভালো হয়নি। শুরুতেই ওপেনার হামজা জোহর বিদায়
নেন ইকবাল হোসেন ইমনের বলে।
পরে দ্বিতীয় উইকেটে ৮৫ রান যোগ করেন সামির
মিনহাস ও উসমান খান জুনিয়র। তাদের জুটি ভেঙেছেন সামিউন বশির রাতুল। এরপর
মিনহাস ও আহমেদ হুসাইনের ব্যাটে পাকিস্তান জয় তুলে নেয়। মিনহাস ৫৭ বলে ৬৯
রান করে অপরাজিত থাকেন। ১১ রান করে তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন হুসাইন।
এর
আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্রুতই আউট হয়েছেন জাওয়াদ আবরার ও
রিফাত বেগ। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে রিফাতকে (১৪) ফিরিয়ে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন
আলী রাজা। পরের ওভারে আউট হন জাওয়াদ (৯)। এরপর ২৬ বলে ২০ রান করে আউট হন
বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম। একই ওভারের শেষ বলে ৮ রান করে আউট হয়েছেন কালাম
সিদ্দিকি অলিনও।
এক ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে আবারও বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ।
সেখান থেকে আর বেরোতে পারেনি টাইগার যুবারা। মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ৯ বলে ৫
এবং উইকেটকিপার ব্যাটার ফরিদ হাসান ফয়সাল করেছেন ৭ রান। শেষদিকে রাতুলের ৩৭
বলে ৩৩ রানের ইনিংসে ১২১ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশের যুবারা। পাকিস্তানের
হয়ে একাই ৪ উইকেট নিয়েছেন আব্দুল সুবহান। দুটি উইকেট পেয়েছেন হুজাইফা
আহসান।
