ইসমাইল নয়ন।।
কুমিল্লার
ব্রাহ্মণপাড়া সীমান্তবর্তী উপজেলা হওয়ায় মাদেকের সাথে ব্যবহৃত কোটি কোটি
টাকার শতশত যানবাহন আটক আছে ব্রাহ্মণপাড়া থানায়। নানা জটিলতায় রোদ বৃষ্টিতে
বাহিরে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে এসব যানবাহন।
ব্রাহ্মণপাড়া থানা সূত্রে
জানা যায়, সড়ক দুর্ঘটনা, চোরাই পণ্য, মাদকদ্রব্য বহনসহ বিভিন্ন অভিযোগে
পুলিশ মোটরসাইকেল, ট্রাক, বাস, প্রাইভেট কার, সিএনজিচালিত অটোরিকশা,
মাইক্রোবাস ইত্যাদি যানবাহন জব্দ করে। আর এসব যানবাহন জব্দ করার পর মামলা
নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অযত্নে থানা চত্বরে পড়ে আছে । একপর্যায়ে সেগুলো
ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
গাড়ি ছাড়িয়ে নিতে মালিকের না আসা, আদালতের
নির্দেশনা ছাড়া ওসব যানবাহন নিলামে বিক্রি করতে না পারা এবং থানা
কর্তৃপক্ষও জব্দ যানবাহন সম্পর্কে আদালতকে কিছু অবগত না করার কারণেই মূলত
থানায় জব্দ যানবাহন নষ্ট হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বিভিন্ন অভিযোগে
জব্দ করা যানবাহন থানা চত্বরের বেশির ভাগ অংশ দখল করে রেখেছে। জব্দ করা ওসব
গাড়ি রাখার কোনো ছাউনি না থাকায় খোলা আকাশের নিচে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে।
অযত্নে পড়ে থাকা এসব যানবাহনের বেশির ভাগ চেনার উপায় নেই। অনেক যানবাহনই
ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে মাটিতে দেবে যাচ্ছে। কিছু যানবাহনের যন্ত্রাংশ খুলে
পড়ছে, চুরিও হয়ে যাচ্ছে।
জব্দকৃত এসব যানবাহনের মালিক না আসায়
যানবাহনগুলো বছরের পর বছর থানা চত্বরে পড়ে থাকলেও আইনি জটিলতায় বিক্রিও করা
যায় না। মামলার আলামত হিসেবে এগুলো রাখতে হচ্ছে।
কতসংখ্যক যানবাহন রয়েছে কর্তৃপক্ষের কাছে তারও সঠিক তথ্য নেই। কর্তৃপক্ষের ধারণা, এসব যানবাহনের দাম কয়েকশ কোটি টাকা হবে।
তবে
কোনো দুর্ঘটনায় পর মালিক যদি গাড়ি ফিরে পেতে চায়, তবে আদালতে আবেদনের পর
আদালত থানা পুলিশকে মালিকানার তথ্য যাচাই করে প্রতিবেদন দিতে বলেন। পুলিশ
প্রতিবেদন দিলে জব্দ করা গাড়ি মালিককে ফেরত দেয়া যায় কি না ওই নির্দেশনা
দেয়া হয়। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই যানবাহনের মালিক আদালতে আবেদন করেন না।
ফলে জব্দকৃত যানবাহন মালিককে ফেরত দেয়া যায় না।
এ
বিষয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম তপন
জানান,আমাদের থানায় কি পরিমাণ বিভিন্ন যানবাহন রয়েছে তার সঠিক তথ্য
আগামীকাল জেনে বলা যাবে, কারণ আমি এ থানায় নতুন এসেছি। তবে থানায় পড়ে থাকা
গাড়িগুলো বিভিন্ন মামলার আলামত হিসেবে জব্দ করা আছে। আদালতের নির্দেশে ওসব
গাড়ির নিষ্পত্তি করা হয়। এর বাইরে কিছু করার নেই। যেসব গাড়ির মালিক পাওয়া
যায় না, সেগুলোর আদালতে নির্দেশে নিলামে বিক্রি করা যায়।
